মাঠেই নষ্ট হলো সোনার ধান

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ১২:১৩ পিএম, ১৩ জুন ২০১৯

দুই পক্ষের বিরোধের জেরে ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার আমগ্রাম মৌজায় ৪০ শতক জমির ধান জমিতেই নষ্ট হলো। দীর্ঘদিন যাবৎ রেলওয়ের কাছ থেকে বন্দবস্ত নিয়ে ওই জমি চাষ করে আসছেন আমগ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী মোসা. সূর্য্য খাতুন। বর্তমানে সূর্য্য খাতুনের ছেলে আইয়ুব মীর ওই জমি দেখাশোনা করেন। কিন্তু সম্প্রতি ১৩ শতক জমির মালিকানা দাবি করে ধান কাটায় বাধা দেন কামারগ্রামের বাসিন্দা হাবিব মৃধা।

মো. আইয়ুব আলী মীর বলেন, গত ৫০ বছর ধরে ১ একর ৮ শতক জমি আমরা বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছ থেকে বন্দবস্ত নিয়ে চাষ করে আসছি। এ বছর প্রথমে কিছু জমির ধানও কাটা হয়। শুধু ৪০ শতক জমির ধান কাঁচা থাকায় রেখে দিই। সম্প্রতি হাবিব ১৩ শতক জমির মালিকানা দাবি করে ধান কাটায় বাধা দেন এবং জমি দখল করার চেষ্টা করেন। রেলওয়ের যে ডিসিয়ারের বলে হাবিব মৃধা মালিকানা দাবি করছেন তা মূলত কামারগ্রাম মৌজায়। অথচ আমাদের বন্দবস্ত নেয়া জমি আমগ্রাম মৌজায়।

এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে জমির মালিকানা নিষ্পত্তির আগে আমার জিম্মায় ধান কেটে রাখতে বলে। কিন্তু ধান কাটতে গেলে আবারও বাধ সাধেন হাবিব মৃধা ও তার লোকজন। ফলে ধান না কাটতে পারায় পাকা ধান জমিতেই নষ্ট হয়ে যায়।

এ বিষয়ে হাবিব মৃধার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি রেলওয়ের কাছ থেকে ১৩ শতক জমি বন্দবস্ত নিয়েছি। ভুলবশত আমগ্রাম মৌজার স্থলে কামারগ্রাম মৌজা লেখা হয়েছে। পরবর্তীতে এটি সংশোধন করা হবে।

সালিশকারক ৫নং ওয়ার্ড কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক কালাম মেম্বর বলেন, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আইয়ুব মীরকে ধান কাটতে বাধা দিয়েছে হাবীব মৃধা। হাবীব মৃধার জমির কাগজের নির্দিষ্ট চৌহদ্দি এবং মৌজা কোনটায় আইয়ুব মীরের বন্দবস্তকৃত জমির সঙ্গে মিল নেই।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার এসআই নারায়ন চন্দ্র জানান, ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করে আইয়ুব মীরকে ধান কেটে রাখার জন্য বলেছিলাম কিন্তু অপরপক্ষ জমি থেকে ধান কাটতে দেয়নি। দ্রুত বিষয়টি মিমাংসা করা হবে।

সিকদার সজল/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।