দৌলতদিয়ায় ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ৫ম দিনে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়ায় ঢাকামুখী মানুষের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। তবে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ আরও বাড়বে বলে ধারণা কর্তৃপক্ষের।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দৌলতদিয়ার ফেরি ও লঞ্চ ঘাট এলাকায় ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া দৌলতদিয়া প্রান্তের সড়কে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারসহ কিছু যানবাহনকে সিরিয়ালে থাকতে দেখা গেছে। তবে কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করে গন্তব্যে ফিরছেন মানুষ।
এদিকে ঘাট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও যানজট নিরসনে পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। পাশাপশি যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন।
ঢাকামুখী যাত্রীরা জানান, এবার ঈদের আগে ও পরে দৌলতদিয়ায় তাদের কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। তবে কোথাও কোথাও বেশি ভাড়া আদায় করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ঈদ শেষে ভালোভাবেই তারা কর্মস্থলে ফিরছেন।
পরিবহন চালকরা জানান, এবার দৌলতদিয়ায় ঈদের আগে ও পরে ভোগান্তিতে পড়েননি। প্রশাসন ও ঘাট কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু ব্যবস্থপনায় এবার ভোগান্তি হয়নি।
দৌলতদিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামলাতে পর্যাপ্ত সংখ্যক ফেরি ও লঞ্চ চলাচল করছে। ফলে ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে। এ রুটে বর্তমানে ছোট বড় ২০টি ফেরি ও ৩৪টি লঞ্চ চলাচল করছে এবং ৬টি ফেরিঘাটের ৬টিই সচল রয়েছে।
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট সুপারভাইজার মো. নুরুল আনোয়ার মিলন জানান, আজ ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ অনেক। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ লঞ্চ থাকায় যাত্রী পারাপারে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
রাজবাড়ীর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর নাজমুল হুদা জানান, দৌলতদিয়া প্রান্তে যানবাহনের কোনো সিরিয়াল নেই। বাসগুলো সরাসরি ফেরিতে উঠছে। এবার ঈদে যাত্রী ও চালকরা কোনো ভোগান্তি ছাড়াই দৌলতদিয়া প্রান্ত দিয়ে ঈদের আগে ও পরে পারাপার হচ্ছেন।
রুবেলুর রহমান/এফএ/এমএস