রাজন হত্যা মামলা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হস্তান্তর
শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলা মহানগর হাকিম আদালত থেকে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে হস্তান্তর করা হয়েছে। একই সঙ্গে মামলার পরবর্তী তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম আদালত-১ এর বিচারক সাহেদুল করিম এ নির্দেশ দেন।
যদিও রাজন হত্যার ঘটনা দেশব্যাপি আলোচনায় উঠে আসার পর থেকেই মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তির ঘেষণা দিয়ে আসছেন আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
চাঞ্চল্যকর এই মামলার নির্ধারিত তারিখ সোমবার কামরুল ইসলামসহ পলাতক তিন আসামি ছাড়া বাকি ১০ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল।
সিলেট মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের এপিপি রাশিদা সাঈদা খানম জানান, মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালতে এ মামলার চার্জ গঠনসহ পরবর্তী কার্যক্রম চলবে।
এদিকে, রাজনের বাবা আজিজুর রহমান আসামি কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। যদিও সম্প্রতি এই মামলার অন্যতম আসামি কামরুল ইসলামকেও ফিরিয়ে দিতে সম্মত হয়েছে সৌদি সরকার। তাকে দ্রুতই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রাজন হত্যার পরপরই কামরুল ইসলাম সৌদিতে পালিয়ে যায়। এরপর সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা স্থানীয়দের সহযোগিতায় আটক করে রিয়াদ পুলিশের হাতে তোলে দেন।
গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। রাজনকে নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয় ঘাতকরা। সেই ভিডিও দেখে দেশব্যাপি নিন্দার ঝড় ওঠে।
দেশব্যাপি সমালোচনার মুখে টনক নড়ে পুলিশ প্রশাসনের। জনতার সহায়তার এ ঘটনায় জড়িতদের একে একে গ্রেফতার করা হয়। গত ১৬ আগস্ট আলোচিত এই হত্যা মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগপত্র প্রদান করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযোগপত্রে উল্লেখিত আসামিদের মধ্যে ১০ জনকে গ্রেফতার ও তিনজনকে পলাতক দেখানো হয়।
আদালতের নির্দেশে পলাতক তিন আসামি কামরুল, তার ভাই শামীম ও পাভেলের বাড়ির মালামালও জব্দ করেছে পুলিশ।
ছামির মাহমুদ/এআরএ/আরআইপি