গাংনীতে ছাত্রলীগ-গ্রামবাসী সংঘর্ষে আহত ৭
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহাবরাটি গ্রামবাসী ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার ভাটপাড়া ডিসি ইকো পার্কে মোটরসাইকেল পার্কিং করা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ চলে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত।
আহতরা হলেন- পার্কের গাড়ির গ্যারেজ ইজারাদার ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আতাউর রহমান টোকান (৪৮), সাহারবাটি গ্রামের বাসিন্দা আওয়ামী লীগ কর্মী রবিউল ইসলাম (৪৫), গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ডালিম, পৌর ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক হিরোক, ছাত্রলীগ কর্মী রাজু, রিপন ও স্বাধীন।
আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আতাউর রহমান টোকনকে স্থানীয় হাসপাতাল থেকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। অন্যরা গাংনী ও মেহেরপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে গাংনী থেকে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী ভাটপাড়া ডিসি ইকো পার্কে ঘুরতে যায়। এসময় গ্যারেজে মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে গ্যারেজের ইজারাদার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান টোকানের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে গাংনী ফিরে আরও লোকজন নিয়ে সন্ধ্যার পরে আবারও সেখানে যায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তখন আতাউর রহমান টোকন ও তার লোকজন ইকো পার্কের দুই নম্বর গেটে ভূমি অফিসের পাশে কাজ করছিলেন। তাদের সেখানে পেয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত আক্রমণ করে টোকন ও রবিউলকে হাতুড়িপেটা করে। এসময় স্থানীয় লোকজন প্রতিরোধ করে ছাত্রলীগের তিনজনকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
এদিকে টোকনের ওপর হামলার খবর সাহারবাটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এসময় জেলা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা নাহিদের সাহারবাটি গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকে গাংনী ফেরার পথে গ্রামবাসী তাদের ওপর হামলা করলে ডালিম ও স্বাধীন নামের ছাত্রলীগের দুই কর্মী আহত হয়।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুনতাসির জামান মৃদুল বলেন, মারামারি সম্পর্কে আমি ও আমার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা কেউই অবগত ছিলাম না। আর এর সঙ্গে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতাও নেই। তারপরেও তারা (গ্রামবাসী) আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রাত ১১টার দিকে গাংনী শহরে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পার্ক এলাকা ও সাহারবাটি গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আসিফ ইকবাল/এমবিআর