বকশিশের নামে পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পটুয়াখালীতে অতিরিক্ত পরিবহন ভাড়া গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। মঙ্গলবার থেকে পটুয়াখালী-কলাপাড়া-কুয়াকাটা রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসে বকশিশের নামে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
জানা গেছে, শহরে চলাচলকারী অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটো এবং অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসে ভাড়ার সঙ্গে ঈদ বকশিশ নিচ্ছে চালক-শ্রমিকরা। এতে করে অটোতে ১০ টাকার ভাড়া ১৫ আবার ২৫ টাকার ভাড়া ৮০ টাকা আর অভ্যন্তরীন বাসে ২০ টাকা থেকে ৬০ টাকা বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে।
বুধবার দুপুরে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কে চলাচলকারী সিফাত পরিবহনের কন্ডাকটর মইনুল প্যাদা জানান, পটুয়াখালী থেকে কলাপড়ার যেখানে যাবেন ভাড়া ১০০। পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটার ভাড়া ২০০। আমরা ঈদ না করে আপনাদের টানছি, আজ বকশিশ না দিলে কবে দিবেন? আজ আমরা বকশিশ কি পাই না?
এদিকে বারতি ভাড়া নিয়ে অনেকের আপত্তি না থাকলেও কেউ কেউ নির্ধারিত ভাড়ার বেশি দিতে রাজি হচ্ছেন না।
ওই গাড়ির যাত্রী ওমর ফারুক নাঈম জানান, আজ সকালে বাস যোগে পটুয়াখালী থেকে বন্ধুকে নিয়ে কলাপাড়া ঘুরতে যাই। সেখানে ১০০ টাকা করে ভাড়া নেয়। কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটা ১০০ টাকা ভাড়া নেয়।
তিনি আরও জানান, বিকেলে কুয়াকাটা থেকে পটুয়াখালী ফেরার পথে আমাদের দুইজনের কাছ থেকে ৪০০ টাকা ভাড়া নিছে। যেখানে পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটা লোকাল বাসে ১৪০-১৫০ টাকা রেগুলার ভাড়া। এখানে ১২০ টাকা দুইজনের কাছ থেকে বেশি নেয়া হয়েছে। কথা বলতে গেলে বাসের লোকজনের সঙ্গে তর্ক হয়। বাধ্য হয়ে ১২০ টাকা বেশি দিয়ে আসতে হয়েছে। তবে এটি অন্যায়।
অপরদিকে বৃষ্টির কারণে শহরে যানবাহন কম থাকায় ভাড়ার সঙ্গে বকশিশ যোগ করেছে অটোরিকশা চালকরা। মুক্তির মোড় এলাকায় অটোরিকশা চালক খোকন জানান, টাকার আশায় ঈদের দিনও রিকশা চালাই। একদিকে বৃষ্টি, যাত্রীও কম। শহরে রিকশা কম চলাচল করায় সবাই খুশি হয়ে ভাড়া বেশি দিয়েছে।
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/আরএআর/এমএস