শেষ মুহূর্তে ঘরে ফেরার তাড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী
প্রকাশিত: ০৪:৫১ পিএম, ০৪ জুন ২০১৯

ঘনিয়ে আসছে ঈদুল ফিতর। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ উদযাপনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী রাজশাহীর বাসিন্দারা ফিরছেন রাজশাহীতে। আবার রাজশাহী ছেড়ে যাচ্ছে এখানে বসবাসকারী অন্য জেলার লোকজন। শেষ মুহূর্তে সবারই ঘরে ফেরার তাড়া। আর সেই চাপ পড়েছে রাজশাহী রেলস্টেশন ও বাস টার্মিনালগুলোতে ।সবখানেই ঘরমুখো মানুষের ভিড়।

বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে অনেকেই অপেক্ষা করছেন আন্তঃজেলা বাস কাউন্টারগুলোতেও। আসন না পাওয়ায় অনেকেই অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে বাড়ির পথে পা বাড়াচ্ছেন।

বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন চলছে কিছুটা বিলম্বে। তবে কিছুটা ভোগান্তি আর ভ্রমণের ক্লান্তি ঠেলে যারা বাড়ি পৌঁছেছেন তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। আর যারা এখনও পৌঁছতে পারেননি তারা অপেক্ষায় আছেন ঘরে ফেরার।

rajshahi

তবে নিরাপদে ঘরে ফেরার ইচ্ছা ও আশা সবার। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর লোকজনও বাড়ি ফিরছেন রাজশাহী হয়ে। সব মিলিয়ে আসা-যাওয়ার মিছিল এখন রাজশাহী নগরজুড়ে।

রাজশাহী ছেড়ে ঘরে ফেরায় অনেকটা ফাঁকা নগরীর আবাসিক এলাকাগুলো। মার্কেটগুলোতে তেমন ভিড় নেই। যানজট নেই শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট এলাকায়।

rajshahi

ফাঁকা রাস্তায় স্বস্তিতে মানুষ যাচ্ছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। বিপণি বিতানগুলো অনেকটাই ফাঁকা। তাই যারা রাজশাহীতে থাকছেন, শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা করছেন স্বস্তিতে।

ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নগরজুড়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি)। পাশপাশি ঈদের ছুটিতে বাসা-বাড়ি ও বিপণি বিতানের নিরাপত্তায় কিছু পরামর্শও দেয়া হয়েছে আরএমপির পক্ষ থেকে।

rajshahi

রাজশাহী নগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তায় রেলওয়ে স্টেশনে পুলিশ চৌকি বসানো হয়েছে। বাস টার্মিনাল ও স্টপেজ ঘিরে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা।

নিরাপত্তায় কাজ করছে থানা, টহল ও গোয়েন্দা পুলিশ। প্রতিটি জোনের এসিরা এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমন্বয় করছেন। তাদের সহযোগিতা দিচ্ছে টহল ও সাদা পোশাকের পুলিশ। কোথাও নিরাপত্তার শঙ্কা নেই।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এমবিআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।