ঈদ উদযাপন করছেন শরীয়তপুর-পটুয়াখালীর হাজারও মানুষ
শরীয়তপুরের ছয় উপজেলার সাতটি থানার ১৫ গ্রামে হযরত সুরেশ্বরী (রা.) অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন আজ মঙ্গলবার। জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হলেও প্রধান ও বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দরবার শরীফ মাঠ প্রাঙ্গণে।
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের ৬৯টি দেশে সোমবার চাঁদ দেখা যাওয়ায় মঙ্গলবার ওইসব দেশে ঈল-উল-ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। তাই সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে সুরেশ্বর দারবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত জান শরীফ শাহ্ সুরেশ্বরীর (রা.) অনুসারীরা আজ ঈদ উদযাপন করছেন।
সুরেশ্বর দরবার শরীফের বর্তমান গদিনশীল পীর শাহ নুরে কামাল নুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সুরেশ্বর দরবার শরীফ মাঠ প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ও সাড়ে ৯টায় ঈদের নামাজের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শরীয়তপুরের ছয় উপজেলা ও সাতটি থানার ১৫ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মুসলমান আজ ঈদ উদযাপন করেছেন।
সুরেশ্বরী (রা.) অনুসারীরা জানান, সুরেশ্বর দারগা শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত জান শরীফ শাহ্ সুরেশ্বরীর (রা.) অনুসারীরা প্রায় দেড়শ বছর আগে থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন এবং ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল আযহা পালন করে আসছেন।
এদিকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পটুয়াখালীর বিভিন্ন এলাকাতেও পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় পটুয়াখালি বদরপুর দরবার শরীফে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। দরবার শরীফের জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব হযরত মাও. মো. আবদুল গনি জামাতের ইমামতি করেন।
জানা গেছে, প্রতি বছরের মতো এ বছরও পটুয়াখালীর বাউফল, কলাপাড়া, গলাচিপা, দশমিনা ও সদর উপজেলাসহ শহরের প্রায় ২০টি গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ আজ ঈদুল ফিতর পালন করছেন। স্থানীয়ভাবে ওই সকল গ্রামবাসী চট্টগ্রামের এলাহাবাদ সুফিয়া ও বদরপুর দরবার শরীফের এবং চানটুপির অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এফএ/পিআর