কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদকে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ০৯:১০ পিএম, ০৩ জুন ২০১৯

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ (কোটা সংস্কার আন্দোলন) পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে ঝিনাইদহের একটি হোটেল থেকে তুলে নিয়ে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সোমবার বিকেলে ঝিনাইদহ শহরের জেএফসি হোটেল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে তুলে নিয়ে যান। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ (কোটা সংস্কার আন্দোলন) পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তারেক রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঝিনাইদহ শহরের জেএফসি হোটেল থেকে ছাত্রলীগের নেতারা রাশেদকে তুলে নিয়ে যায়। পরে রাশেদ খানকে ঝিনাইদহ সদর থানায় সোপর্দ করা হয়। বিকেলে রাশেদের বাবার মাধ্যমে তাকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হলেও এখনো ছাড়েনি পুলিশ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার বিকেলে শহরের জেএফসি হোটেলে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছিলেন রাশেদ খান। এ সময় সেখানে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। পরে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পরে রাশেদকে তারা পুলিশে দেয়।

ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ (কোটা সংস্কার আন্দোলন) পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। স্থানীয় কিছু লোকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে তাকে থানায় আনা হয়। তার বাবাকে খবর দেয়া হয়েছে। তিনি এলে রাশেদকে ছেড়ে দেয়া হবে।

এ বিষয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ খান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ শহরের জেএফসি রেস্টুরেন্টে খাবার খাচ্ছিলাম। এ সময় স্থানীয় কিছু ছাত্রলীগ নেতা আমাদের ধরে থানায় নিয়ে যায়। আমি এই মুহূর্তে পুলিশ হেফাজতে রয়েছি।

ওসি মিজানুর রহমান বলেন, একদল যুবক রাশেদ খানকে ধরে থানায় নিয়ে আসে। তাকে গ্রেফতার কিংবা আটক করা হয়নি। তাকে ছেড়ে দেয়া হবে।

কারা রাশেদ খানকে থানায় নিয়ে এসেছেন জানতে চাইলে ওসি মিজানুর রহমান বলেন, একদল যুবক রাশেদকে থানায় নিয়ে আসে। আমি তাদের চিনি না।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।