মাদরাসা শিক্ষকের খাটের নিচে ছাত্রের অর্ধগলিত লাশ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বেনাপোল (যশোর)
প্রকাশিত: ১০:২৮ পিএম, ০২ জুন ২০১৯
প্রতীকী ছবি

যশোরের শার্শা উপজেলায় নিখোঁজ হওয়ার পর শাহা পরাণ (১২) নামে এক মাদরাসাছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২ জুন) বিকেলে উপজেলার গোগা গাজিপাড়া গ্রাম থেকে মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ হাফিজুর রহমানের ঘরের খাটের নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

মৃত শাহা পরান বেনাপোল পোর্ট থানার উত্তর কাগজপুকুর গ্রামের শাহাজান আলীর পুত্র ও কাগজপুকুর হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন নাভারন সার্কেল এএসপি জুয়েল আহমেদ ও শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ এম মসিউর রহমান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাফেজ হাফিজুর রহমান কাগজপুকুর হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক। তিনি প্রায়ই মাদরাসার শিশু ছাত্রদের তার বাসায় নিতে আসতেন। কয়েকদিন বাসায় রেখে আবার মাদরাসায় নিয়ে যেতেন। শাহা পরানকে তিনি কয়েকদিন আগে বাসায় নিয়ে আসেন। ৩-৪ দিন পর হাফিজুর রহমান আবার তার কর্মস্থলে ফিরে যান। গ্রামের মহিলা মেম্বার স্থানীয় চেয়ারম্যানকে ফোন দিয়ে জানান, হাফিজুরের বাড়ি থেকে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ আসছে এবং তার খাটের নিচে একটি মৃত ব্যক্তির হাত দেখা যাচ্ছে। তার তার বাসা থেকে শাহা পরানের লাশ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ বলেন, ‌আমি ঘটনাস্থলে এসে লাশ দেখতে পেয়ে শার্শা থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে লাশটি নিয়ে যায়।

শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ এম মসিউর রহমানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‌আমরা এখানে চেয়ারম্যানের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসি। এখন পর্যন্ত যা জানতে পেরেছি, এই কিশোরের নাম শাহা পরান। বাড়ি বেনাপোলের কাগজপুকুর গ্রামে। তার পরিবারের অভিযোগ শাহা পরান হাফিজুরের সঙ্গে কয়েকদিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, এই ঘটনাটি কীভাবে ঘটছে তা নিয়ে আমাদের তদন্ত কার্যক্রম চলছে। সঠিক তদন্ত ছাড়া এখন কিছুই বলা যাবে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

মো. জামাল হোসেন/এসআর

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।