আপত্তিকর অবস্থায় ধরা, দুই যুবকের মাথা ন্যাড়া
শরীয়তপুরে অনৈতিক কাজের সময় আপত্তিকর অবস্থায় ধরে রাজু ফকির ও সাগর বেপারী নামে দুই যুবকের মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে এলাকাবাসী। শুক্রবার জুমার নামাজের পর শরীয়তপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের উত্তর পালং গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের উত্তর পালং গ্রামে বাবার বাড়িতে স্বামী, ছেলে ও মেয়ে নিয়ে ২৫ বছর ধরে বসবাস করছেন এক গৃহবধূ। ওই গৃহবধূর মেয়ে ও ছেলের স্ত্রীর কাছে ছয় মাস ধরে বিভিন্ন এলাকার যুবকরা আসা-যাওয়া করে।
এরই ধারাবাহিকতায় শরীয়তপুর পৌরসভার উত্তর বিলাশখান গ্রামের মনু ফকিরের ছেলে রাজু ফকির (২৩) ও তার বন্ধু আংগারিয়া এলাকার ইলয়াস বেপারীর ছেলে সাগর বেপারী (২৫) ওই গৃহবধূর মেয়ে ও ছেলের স্ত্রীর ঘরে যাওয়া-আসা করে। মাঝে মধ্যে ওই বাড়িতে রাতযাপন করে রাজু ফকির ও সাগর বেপারী।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর ওই গৃহবধূর মেয়ে ও ছেলের স্ত্রীর ঘরে গিয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয় রাজু ও সাগর। তখন বিষয়টি গৃহবধূর মা (৭০) দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের খবর দেন।
তখন আপত্তিকর অবস্থায় রাজু ও সাগরকে আটক করে প্রতিবেশীরা। এরপর অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার অপরাধে কাঁচি দিয়ে রাজু ফকির ও সাগরের মাথার চুল ন্যাড়া করে দেয় এলাকাবাসী। সেই সঙ্গে দুই যুবকের মাথা ন্যাড়া করার ঘটনার ভিডিও করা হয়। পরে ওই ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়া হয়।
ওই গৃহবধূর বৃদ্ধা মা বলেন, যাদের মাথা ন্যাড়া করা হয়েছে তারা আমাদের বাড়িতে এসে নাতনি ও নাতির স্ত্রীর সঙ্গে মাঝে মধ্যে রাতযাপন করত। শুক্রবার জুমার নামাজের পর অনৈতিক অবস্থায় তাদের আমি দেখে ফেলি। পরে স্থানীয়দের খবর দেই। স্থানীয়রা তাদের হাতেনাতে ধরে মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে।
স্থানীয় রুপচাঁদ বেপারী ও কুদ্দুস মোড়লসহ অনেকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাজু ও সাগরের সঙ্গে ওই নারীরা খারাপ কাজ করছে। শুক্রবার তাদের হাতেনাতে ধরে মাথার চুল ন্যাড়া করে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে রাজু ফকিরের বাবা মনু ফকির বলেন, সাগরের সঙ্গে আমার ছেলে রাজু ওই বাড়িতে যায়। পরে স্থানীয়রা ধরে রাজু ও সাগরের মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছেন। তবে আমার ছেলে রাজু নির্দোষ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শরীয়তপুরের পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় স্থানীয় চারজনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিয়েছে মেয়েপক্ষ। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মো. ছগির হোসেন/এএম/এমকেএইচ