হিলিতে আটকের পর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুর
প্রকাশিত: ০৪:২০ পিএম, ৩১ মে ২০১৯

দিনাজপুরের হিলিতে বিজিবির হাতে আটক হওয়ার ১৫ ঘণ্টার মধ্যে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দেলোয়ার হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হিলি সীমান্তের চেংগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দেলোয়ার হোসেন হাকিমপুর হিলি সীমান্তের নন্দিপুর এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।

বিজিবি বলছে- দেলোয়ার মাদক ব্যবসায়ী। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাস্থল থেকে ৫০০ বোতল ফেনসিডিল ও তিনটি দেশীয় চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।

তবে নিহতের পরিবারের দাবি- দেলোয়ার নিরাপরাধ। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রাশেদ মোহাম্মদ আনিসুল হক জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ভারত থেকে দেশে প্রবেশের সময় হিলি সীমান্তের নন্দিপুর এলাকা থেকে ৯৫৮ পিস ইয়াবাসহ দেলোয়ার হোসেনকে আটক করে বিজিবি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সীমান্তের চেংগ্রাম এলাকায় মাদক চোরাকারবারিরা বিপুল পরিমাণ মাদক ও ইয়াবা গাড়িতে ভর্তি করে পাচার করেছে বলে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয় দেলোয়ার।

তার দেয়া তথ্য মতে মধ্যরাতে হিলি সীমান্তের চেংগ্রাম এলাকায় বিজিবির একটি বিশেষ টিম তাকে নিয়ে ইয়াবা পাচারকারীদের ধরার জন্য যায়। আগে থেকেই সেখানে থাকা মাদক পাচারকারীরা বিজিবির টহল দলের ওপর হামলা চালায় । একপর্যায়ে তারা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এ সময় বিজিবি সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির একপর্যায়ে হামলাকারী মাদক কারবারিরা পালিয়ে যায়। প্রতিপক্ষের গুলিতে দেলোয়ার হোসেন গুলিবদ্ধ হয় । এ সময় মাদক কারবারিদের গুলিতে বিজিবির নায়েক দেলোয়ার, লে. নায়েক মামুন ও সৈনিক মতিন আহত হন।দেলোয়ার হোসেনকে উদ্ধার করে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, আহত বিজিবি সদস্যরা জয়পুরহাট ব্যাটালিয়নের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে হাকিমপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছে।

এদিকে নিহতের ভাতিজা ইমরান অভিযোগ করে বলেন, আমার চাচা এলাকায় মাদকবিরোধী আন্দোলন শুরু করেছিলেন। এ কারণে যারা মাদক ব্যবসা করে তারা যোগসাজশ করে বিজিবিকে দিয়ে আমার চাচাকে আটক করায়। সারারাত তাকে বিজিবি নির্যাতন করে এবং ক্রসফায়ারের নাম করে হত্যা করেছে। তার নামে কোনো মামলা নেই, কোনো অভিযোগ নেই। তিনি কোনো মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিলেন না। তিনি নিরাপরাধ মানুষ ছিলেন। আমার চাচাকে কেন মারা হলো, আমরা বিচার চাই।

হাকিমপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে মামলা করেছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এমদাদুল হক মিলন/আরএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।