ঢাকা থেকে তিন ঘণ্টায় ফেনী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মুন্সীগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৩:০৭ পিএম, ৩১ মে ২০১৯

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা অংশের মহাসড়কজুড়ে যানজটের সেই চেনা রূপ এখন আর দেখা যায় না। এই মহাসড়কে যেসব যাত্রী কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ফেনী এবং চট্টগ্রাম রোডে যাতায়াত করতেন ইতোমধ্যে তাদের চোখে মুখে স্বস্তির হাসি ফুটেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেঘনা ও গোমতী সেতু দুটি উদ্বোধনের পর মহাসড়কের দৃশ্যপট অনেকটা পাল্টে গেছে। শুক্রবারও যানজটের সেই চিত্র নেই। একটা সময় এই মহাসড়কের গজারিয়া অংশে সপ্তাহে ৪/৫ দিন যানজট লেগে থাকত। সেখানে সেতু দুটি উদ্বোধনের পর চার লেনের সেতুগুলো খুলে দেয়ায় আসা-যাওয়া উভয় লেনে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করতে পারছে। ফলে মহাসড়কের এই অংশে আর কোনো যাত্রীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে না।

Bridge-Sunamgonj-1

স্থানীয় সূত্রমতে, জাতীয় এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজারেরও বেশি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। আর এ বিপুল সংখ্যক যানবাহন গোমতী-মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা অতিক্রম করতে গিয়ে যানজটের কবলে পড়ত। নিত্যদিনের যানজটের কারণে মহাসড়কটি মহাভোগান্তিতে রূপ নিয়েছিল বিগত প্রায় পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে।

গাড়িচালক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, এ চার লেনের সেতু চালু হওয়ার ফলে আমরা ও যাত্রীরা যানজটের অসহ্য ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়েছি।

কুমিল্লার যাত্রী মো. আবুল হোসেন বলেন, এ সড়কে যানজটের ভয়ে ঢাকাতে থেকে অফিস করতে হয়। আশা করছি এখন প্রতিদিন বাড়ি থেকে অফিস করতে পারব। আর ঈদের সময়টাতে এই সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরাও নির্বিঘ্নে গন্তব্যে যেতে পারবে।

Bridge-Sunamgonj

নিয়মিত যাত্রী ওয়াজ করনী বলেন, আগে ফেনী থেকে ৪-৫ ঘণ্টায় ঢাকায় যাওয়া যেত। গত ৫-৬ বছর ধরে যানজটের কারণে তা ৮-১০ ঘণ্টা লেগে যেত। এখন সেখানে সময় লাগছে মাত্র ৩-৪ ঘণ্টা। সত্যিই অবাক লাগছে। অনেক ভালো লাগছে।

গজারিয়া হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কবির হোসেন বলেন, মেঘনা-গোমতী সেতু দুটি উদ্বোধন হওয়ার পর মহাসড়কের গজারিয়া অংশে যানজট শূন্যের কোঠায়। আশা রাখি কোনো সমস্যা হবে না। ঈদ উপলক্ষে আমাদের অনেক ভালো প্রস্তুতি রয়েছে।

ভবতোষ চৌধুরী নুপুর/এফএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।