প্রেম বিচ্ছেদেই আত্মঘাতী মডেলকন্যা রাউধা
প্রেম বিচ্ছেদ থেকেই আত্মঘাতী হয়েছেন মালদ্বীপের মডেলকন্যা ও রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী রাউধা আথিফ।
বুধবার বিকেলে রাজশাহীর মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন রাজশাহী পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান। ওই প্রতিবেদনে রাউধার আত্মহননের কথা উল্লেখ করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এর আগে পুলিশ ও সিআইডিসহ বিভিন্ন সংস্থার চারবারের তদন্তেও এই মডেলকন্যার আত্মহত্যার বিষয়টি উঠে আসে।
তবে এসব প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেন রাউধা আথিফের বাবা মোহাম্মদ আতিফ। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট পিবিআইকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইদুর রহমান বলেন, প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণেই আত্মহত্যা করেছেন রাউধা। তার শেষ গৃহীত কল ছিল বয়ফ্রেন্ড শাহী ঘনির। তার পাঠানো শেষ মেসেজ ছিল ‘ইউ কিলড মি। আই ফিল ডেড। আমার আর কিছুই থাকল না’।
পিবিআই রাজশাহী কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, পিবিআইয়ের তদন্তে রাউধার আত্মহত্যার বিষয়টি উঠে এসেছে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে বুধবার আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
এর আগে সম্প্রতি রাউধার মরদেহের ভিসেরাসহ গুরুত্বপূর্ণ তিনটি প্রতিবেদন চেয়েছে মালদ্বীপ দূতাবাস। পুলিশ সদর দফতরের চিঠি পাওয়ার পর তদন্ত সংস্থা পিবিআইয়ের রাজশাহী কার্যালয় থেকে এসব নথিপত্র পাঠানো হয়।
২০১৭ সালের ২৯ মার্চ ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ ছাত্রীনিবাসের দ্বিতীয় তলার ২০৯ নম্বর কক্ষ থেকে রাউধা আথিফের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ২০১৬ সালের ১৪ জানুয়ারি ওই কক্ষে ওঠেন রাউধা। রাউধার বাড়ি মালদ্বীপের মালেতে। তার বাবা মোহাম্মদ আতিফ পেশায় চিকিৎসক।
রাউধা প্রতিষ্ঠানটির এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ নিয়ে ওই দিনই হাসপাতালের সচিব আব্দুল আজিজ রিয়াজ থানায় অপমৃত্যু মামলা করেন।
বিখ্যাত সাময়িকী ‘ভোগ ইন্ডিয়া’ ২০১৬ সালের অক্টোবরে তাদের নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সংখ্যা প্রকাশ করে। তাতে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন হয় এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মডেলদের নিয়ে। ‘বৈচিত্র্যের সৌন্দর্য উদযাপন’ (সেলিব্রেটিং বিউটি ইন ডাইভার্সিটি) শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে স্থান পেয়েছিলেন মালদ্বীপের এই মডেল।
ভোগ ইন্ডিয়ার ওই প্রতিবেদনের জন্য দেয়া সাক্ষাৎকারে রাউধা বলেছিলেন, মডেলিং আমার কাছে পেশা নয়, শখই বেশি। পড়াশোনা শেষ করে চিকিৎসক হয়ে মানুষকে সাহায্য করা আমার কাছে সব সময়ের জন্য স্বপ্ন।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এমবিআর/জেআইএম