দুদক গিয়ে দেখল ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না
হেল্প লাইনে ফোন পেয়ে খাগড়াছড়ি বিআরটিএতে ঝটিকা অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার সকালে এ অভিযান পরিচালনা করে দুদক।
অভিযান পরিচালনাকালে বিআরটিএ অফিসে কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রে বিআরটিএর নিয়মিত চালকদের লাইন্সেস নবায়ন পরীক্ষার হলে হানা দেয় দুদক। দুদকের রাঙ্গামাটি সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে দুদকের তিন সদস্যের টিম এ অভিযান চালায়।
এ সময় সোহেল চাকমা নামে দালাল চক্রের এক সদস্য আটক করে দুদক। পরে আটককৃত সোহেল চাকমাকে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হস্তান্তর করে দুদক।
অভিযানকালে দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মো. আবুল বাশার ও খাগড়াছড়ি জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় লাইন্সেস নবায়নকারীদের কাছ থেকে ঘুষ আদায় এবং বিআরটিএ অফিসের যোগসাজশে দালালের মাধ্যমে লাইন্সেস করানোর প্রমাণ পায় দুদকের টিম।
বিআরটিএ পরীক্ষার হলে উপস্থিত অনেক পরীক্ষার্থী জানান, বিআরটিএ অফিসে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। বাধ্য হয়ে দালালের মাধ্যমে লাইন্সেস করতে হয়। না হলে নানা রকম হয়রানির শিকার হতে হয়।
দুদকের রাঙ্গামাটি সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, কয়েকজন ভুক্তভোগী দুদকের হেল্প লাইন ১০৬ নম্বরে ফোন করে বিআরটিএর দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ করেন। হেল্প লাইন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানকালে বিআরটিএর কার্যক্রমে অনিয়ম ধরা পড়ে। বিআরটিএ অফিসের যোগসাজশে টাকা নিয়ে লাইন্সেস প্রদান ও নবায়নের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়। এ সময় খাগড়াছড়ি বিআরটিএর সহকারী পরিচালককে বিআরটিএর অনিয়ম নিয়ে সর্তক করে দেয় দুদক টিম।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এএম/এমকেএইচ