মেঘনায় বিলীন ইলিশা ফেরিঘাট
ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ভোলা অংশের নব নির্মিত ইলিশা ফেরিঘাট রোববার মেঘনা নদীর তীব্র স্রোতের আঘাতে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। ফলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ফেরি চলাচল।
ঈদের আগে ফেরিঘাট পুনরায় নির্মাণের দাবি করেছেন ভোলা স্বার্থরক্ষা উন্নয়ন কমিটির নেতারা। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ৩ দফা ওই এলাকা পরির্দশন করে ভাঙন রোধে নতুন প্রযুক্তির জিও টিউব ব্যাগ ফেলার নির্দেশ দেন পাউবোকে।
এদিকে রোববার দুপুরে নতুন ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, পানির তীব্র স্রোতের আঘাতে ফেরিঘাটের এ্যাপোচ সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। একই সঙ্গে পাকা সড়কের দেড়শ ফুট সড়ক জুড়ে বিশাল আকারের ফাটল। যা ভেঙে যাচ্ছে। বিআইডব্লিউটিএর কর্মীরা ফেরির পন্টুনকে কোনো রকমে এক পাশে রেখে লোহার দড়িতে টেনে রাখার চেষ্টা করছেন।
ওই ঘাটের পাশের মো. রতন, মো. ফরিদ, মো. আব্দুর রশিদ, তছির, আবুল কাসেম, আব্দুর রহিম, রোকেয়া বেগমসহ শতাধিক পরিবার ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছেন।
আব্দুর রহিমের ছেলে মো. ফারুক জাগো নিউজকে জানান, তারা কোথায় গিয়ে আশ্রয় নিবেন জানেন না। এখন রাস্তার পাশে ঘরের বেড়া ও আসবাবপত্র নিয়ে রাখছেন।
বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ নেওয়াজ কবির জাগো নিউজকে জানান, জুলাই মাসের ২৫ তারিখ ভাঙনের কারণে রাস্তা ধসে গেলে পুরাতন ঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ওই দফতরের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ঘাট এলাকা পরির্দশন করে এক কিলোমিটার দূরে এই নতুন ঘাট নির্মাণের নির্দেশ দেন।
তিনি আরো বলেন, ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন ঘাট নির্মাণ করা হলেও এর মধ্যে ২ দফা ভাঙনের মুখে পড়লে সংস্কার করা হয়। ৫দিন আগে ফের ধস দেখা দিলে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু রোববার সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে ওই ঘাট। ফলে নতুন করে ঘাট নির্মাণ না করা পর্যন্ত ফেরি চলাচল করতে পারবে না।
অপরদিকে ফেরির ইজারাদার ও ইউপি চেয়ারম্যান ইয়ানুর রহমান বিপ্লব জাগো নিউজকে জানান, ঈদের আগে ফেরি চালু না হলে হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠবে।
অমিতাভ অপু/এসএস/আরআইপি