ঘরমুখোদের বরণে প্রস্তুত কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ০৯:০৩ এএম, ২৬ মে ২০১৯

দেশের ব্যস্ততম নৌরুট কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের যোগাযোগের অন্যতম নৌপথ এটি। ঈদ মৌসুমে এই নৌরুটেই ঢল নামে ঘরমুখো মানুষের। নাড়ির টানে ঘরে ফেরা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের একটি বৃহৎ অংশ কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুট ব্যবহার করে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে ঈদ মৌসুমে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে থাকে কর্তৃপক্ষ।

আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে এই নৌরুটে ১৮টি ফেরি, ৮৭টি লঞ্চ ও ২ শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করবে বলে কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্র জানিয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্রে জানা গেছে, ঈদের চাপ সামলাতে কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে ১৮টি ফেরি চলাচল করবে। বর্তমানে এ নৌরুটে ৩টি রোরো ফেরি, ৬টি ফ্ল্যাট ফেরি, ৪টি কে-টাইপ ফেরি এবং ৩টি মিডিয়ামসহ মোট ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। ২৬ রোজার দিকে আরো দুটি ফেরি যোগ হবে বলে ফেরি ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

Madaripur

কাঁঠালবাড়ী ফেরি ঘাটের টার্মিনাল সুপারিনটেন্ডেন্ট মো. ফারুক হোসেন বলেন, ঈদ সামনে রেখে পর্যাপ্ত ফেরি রয়েছে। তাছাড়া নৌরুটে বর্তমানে নাব্য সংকট নেই। ফলে ফেরি চলাচলে ভোগান্তি এবার আশা করি হবে না। তবে ঈদের সময় যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ থাকে। সে সময় দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্য লোকাল বাসগুলো ফেরি ঘাটের কাছে চলে আসে। এতে করে পরিবহন ওঠা-নামার পথে যানজটের সৃষ্টি হয়। এবার এই বিষয়টা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করা হবে। যাতে করে নির্বিঘ্নে ফেরি থেকে পরিবহন আনলোড করা যায়।

কাঁঠালবাড়ী লঞ্চ ঘাট সূত্রে জানা গেছে, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ঈদে যাত্রীদের চাপ অত্যাধিক পরিমাণে বেড়ে যায়। ঘরে ফেরা মানুষের একটা বড় অংশই পদ্মা নদী পার হয় লঞ্চে করে। ফলে এই সময়টায় নৌপথে ভিড় থাকে প্রচণ্ড। লঞ্চগুলোর ব্যস্ততার কমতি থাকে না। যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পারাপার করতে প্রতিবছরই ঈদ মৌসুমে লঞ্চগুলোকে ত্রুটিমুক্ত রাখার চেষ্টা করা হয়।

৮৭টি লঞ্চ ঈদ মৌসুমে যাত্রীদের পারাপারে ব্যবহৃত হবে। ইতোমধ্যে ত্রুটিপূর্ণ ১০টি লঞ্চ মেরামতের জন্য ডকইয়ার্ডে রয়েছে। সেগুলোও যথাসময়ে নৌরুটে যুক্ত হবে।

Madaripur

একাধিক লঞ্চ মালিক বলেন, কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল শৃঙ্খলার সঙ্গে হয়ে আসছে। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা হয় না। তাছাড়া প্রতিটি লঞ্চেই পর্যাপ্ত জীবন রক্ষাকারী বয়া ও লাইফ জ্যাকেট রয়েছে। ঈদ মৌসুমেও লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হয় না।

অন্যদিকে কাঁঠালবাড়ী ও শিমুলিয়া উভয় ঘাট মিলিয়ে এই নৌরুটে ২ শতাধিক স্পিডবোট রয়েছে। ঈদ মৌসুমে যাত্রী পারাপারে নিয়োজিত থাকবে স্পিডবোটগুলো।

বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পারাপার করতে ৮৭টি লঞ্চ ঈদ মৌসুমে ব্যবহৃত হবে। ত্রুটিপূর্ণ লঞ্চগুলো মেরামতের জন্য পাঠানো হয়েছে। যেগুলো ঈদের আগেই নিয়ে আসা হবে। কোনো দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেই লক্ষ্যে লঞ্চঘাটে কঠোর নজরদারি থাকবে।

নাসিরুল হক/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।