মলের সঙ্গে বেরিয়ে আসা ইয়াবা দিয়ে ব্যবসা করছিলেন তারা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০৪:৪৫ পিএম, ২৪ মে ২০১৯

কক্সবাজারের টেকনাফ থানার একটি মাদক মামলায় ৬ মে কারাগারে পাঠানো চট্টগ্রামের পটিয়ার দক্ষিণ হুলাইন এলাকার হোসেনের ছেলে মাহবুব আলমকে (৫০)। এসময় তিনি পাকস্থলীতে জমা রেখেছিলেন প্রায় ৫শ পিস ইয়াবা। কারাগারের বাসিন্দা হবার ৪ দিনের মাথায় মলত্যাগের মাধ্যমে ইয়াবাগুলো বের করেন তিনি।

এরপর ইয়াবাগুলো আলাদাভাবে নিয়ে কারা অভ্যন্তরের সবজিক্ষেতে লুকিয়ে রাখেন মাহবুব। আর পরিস্থিতি বুঝেই ইয়াবা আসক্ত বন্দিদের কাছে তা বিক্রি করতে সহযোগিতা নেন ২০১৮ সালে ইয়াবা মামলায় কারান্তরিণ কক্সবাজারের উখিয়ার ওয়ালাপালং সিকদার বিলের চাঁদ মিয়ার ছেলে মুহাম্মদ ইসলাম ওরফে সালামের। ২৩ মে তাদের দুজনের কাছ থেকে ৪০৫ পিস ইয়াবা জব্দ করে ফেলে কারা কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার বাদী কক্সবাজার কারাগারের জেলার রীতেশ চাকমা বলেন, গত ৬ মে টেকনাফ থানার একটি ইয়াবা মামলায় কক্সবাজার জেলা কারাগারে আসে পটিয়ার মাহবুব। ওই সময় তার পেটে ইয়াবা নেয়াছিল। ১০ মে মলত্যাগের মাধ্যমে বের করে কারাভ্যন্তরের সবজি বাগানে লুকিয়ে রাখা ইয়াবাগুলো ২৩ মে (বৃহস্পতিবার) বিক্রির উদ্দেশ্যে ভেতরে নেয়া হয়। কারারক্ষী আব্দুল মজিদের সহায়তায় হিমছড়ি কক্ষ থেকে ব্যবহৃত ব্যাগ তল্লাসি করে ৯ পোটলায় মোট ৪০৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

কক্সবাজার কারাগারের সুপার মো. বজলুর রশিদ আখন্দ বলেন, আমি আসার পর থেকে মাদকের বিষয়ে জিরো-টলারেন্স অবস্থা ঘোষণা করেছি। তাই কর্তৃপক্ষ সব সময় সচেতন থাকে। আমাদের প্রশিক্ষিত টিম মাদক উদ্ধারে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। কারা অভ্যন্তরে পর্যবেক্ষক নিয়োগ ও বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগে এবার ১০ম বারের মতো ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। এসব যাত্রা কক্সবাজার কারাগারকে আদর্শ কারাগারের খ্যাতির দিকে এগিয়ে নিচ্ছে।

সায়ীদ আলমগীর/এমএএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।