আবার পেছাল ১৩তম স্প্যান বসানো

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মুন্সীগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৩:১৪ পিএম, ২৪ মে ২০১৯

মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ১৩তম স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) বসানো আবার পেছাল। শুক্রবার ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যানটি বসানোর কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু স্প্যানটি আসতে দেরি হওয়ায় আগামীকাল শনিবার সকালে বসানো হবে বলে সেতু প্রকল্পের একাধিক প্রকৌশলী নিশ্চিত করেছেন।

পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে পিলারের উদ্দেশে স্প্যান দেরিতে রওনা দেয়। ফলশ্রুতিতে আজ আর স্প্যান বসানোর যথেষ্ঠ সময় নেই। কারণ স্প্যানের পজিশনিং ঠিক করতে যদি পর্যাপ্ত আলো না পাওয়া যায় তাহলে স্প্যান বসানো যাবে না। তাই শনিবার সকালে স্প্যান বসানো হবে।

এদিকে সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, পিলারে লিফটিং হ্যাঙ্গার প্রস্তুত হয়নি। তাই আজ স্প্যান বসানো হবে না। এ স্প্যানটি সেতুর ১৩তম স্প্যান। এর আগে স্থায়ীভাবে বসানো হয়েছে ১০টি স্প্যান ও অস্থায়ীভাবে বসানো হয়েছে ২টি স্প্যান।

এ স্প্যানটি বসানোর হলে সেতুর মোট ১ হাজার ৯৫০ মিটার দৃশ্যমান হবে। জাজিরা প্রান্তে ৯টি স্প্যানের মোট ১৩৫০ মিটার ও মাওয়া প্রান্তের একটি স্থায়ী ও একটি অস্থায়ী স্প্যান মিলে মোট ৩০০ মিটার এবং সেতুর মাঝ বরাবর একটি স্প্যান অস্থায়ীভাবে বসানোয় ১৫০ মিটার যোগ করে সেতুর মোট ১ হাজার ৮০০ মিটার আগেই দৃশ্যমান আছে। তবে স্প্যানগুলো ভিন্ন ভিন্ন মডিউলে বসানোর কারণে দৃশ্যমান অংশগুলো এক সারিতে নয় বরং বিচ্ছিন্নভাবে থাকবে।

এর আগে পিলারে বসানোর উদ্দেশে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যান ৩বি রওনা দেয়। স্প্যানটি রওনা দেয়ার কথা ছিল সকাল সাড়ে সাতটায়। এর আগে কয়েক দফায় এই স্প্যানটি বসানোর তারিখ পরিবর্তন করা হয়।

প্রকৌশল সূত্রে জানা যায়, মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার 'তিয়ান ই' ভাসমান ক্রেন ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের প্রতিটি স্প্যান বহন করে। এরপর বসানো হয় পিলারের ওপর।

পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী আহসান উল্লাহ মজুমদার শাওন জানান, পদ্মা সেতুতে দুই ধরনের স্প্যান বসবে, নদীর মধ্যে থাকা ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসবে যেগুলো মূলত স্টিলের এবং নদীর দুই পাড়ে থাকা ভায়াডাক্টের ওপর ৭টি করে ১৪টি রেলওয়ে স্প্যান এবং জাজিরা প্রান্তে ২৩৪টি সুপার-টি গার্ডার ও মাওয়া প্রান্তে ২০৪টি সুপার-টি গার্ডার মিলিয়ে মোট ৪৩৮টি সুপার-টি গার্ডার বসবে। এতে মোট রোডওয়ে স্প্যান হবে ৮৩ টি। স্টিলের স্প্যান বা সুপার স্ট্রাকচার বসানো হয়েছে মোট ১২টি।

ভবতোষ চৌধুরী নুপুর/এফএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।