বাবার কুদৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে চাচার বাড়িতে ঘুমাতো মেয়েটি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ০৯:৩১ পিএম, ২১ মে ২০১৯
ফাইল ছবি

বাবার খারাপ নজর থেকে রক্ষা পেতে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন মা। জামাই বিদেশ চলে যাওয়ায় কয়েক দিনের জন্য মায়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছে সেই মেয়ে। তবে বাবার নজর থেকে রক্ষা পেতে চাচার বাড়িতে ঘুমাতো মেয়েটি। তাতেও রক্ষা হলো না তার। তাকে ধর্ষণের চেষ্টার সময় এলাকাবাসীর কাছে ধরা খেয়েছেন সেই বাবা। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।

এলাকাবাসীর মুখে মুখে এখন, নিজের বিবাহিত ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বাবাকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ এ ঘটনাটি।

গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নূরুল্যাগঞ্জ ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে রাতেই মেয়েটির মা তার স্বামীকে একমাত্র আসামি করে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।

মামলার পর পরই তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার, এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই ব্যক্তি মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার দুই ছেলে-এক মেয়ে। মেয়েটি বড়। তবে স্বামীর কুমতলব টের পেয়ে মেয়েটির মা তাকে সম্প্রতি বিয়ে দিয়ে দেন। মেয়টির স্বামী বিদেশে চলে যাওয়ায় সে কয়েক দিনের জন্য বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। তবে বাবার কুদৃষ্টির কারণে মেয়েটি নিজের বাড়িতে না ঘুমিয়ে পাশে চাচার বাড়িতে ঘুমায়।

গত সোমবার রাতে মেয়েটির ভাই অন্যখানে বেড়াতে যাওয়ায় রাতে সে তার মায়ের সঙ্গে ঘুমাতে যায়। এ সুযোগে তার বাবা তাকে ঘরের বারান্দায় নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে তার মা ছুটে আসে। ঘটনা দেখে তিনিও চিৎকার দিলে এলাকাবাসী ওই ব্যক্তিকে ধরে বেঁধে রাখেন এবং থানায় খবর দেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) নিখিল অধিকারী জাগো নিউজকে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে (মেয়েটির বাবা) আটক করেছে। তার স্ত্রী স্বামীকে একমাত্র আসামি করে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলাও করেছেন। মঙ্গলবার ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

বি কে সিকদার সজল/এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।