টিসিবি পণ্য : চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: ০৯:৩৪ এএম, ২০ মে ২০১৯

ঝালকাঠিতে ডিলাররা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রিতে অনীহা প্রকাশ করছেন। এতে পণ্য কিনতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ক্রেতাদের। তবে এর কারণ হিসেবে জনসাধারণের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য না পাওয়াকে দুষছেন ডিলাররা।

ক্রেতাদের অভিযোগ, পণ্য সরবরাহের পাশাপাশি ডিলার কম হওয়ায় টিসিবির পণ্য কিনতে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। কে কোথায় কখন বিক্রি করছে তার সিডিউল জনসাধারণ জানতে না পারায় তীব্র গরমে খুঁজে না পেয়ে অনেকে পণ্য না কিনে ফেরত যাচ্ছেন।

পবিত্র রমজানে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে ন্যায্যমূল্যে দেশজুড়ে তেল, ছোলা, খেজুর, চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি করছে টিসিবি। ডিলারদের মাধ্যমে এসব পণ্য সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি হয়। এবার প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ৮৫ টাকা, প্রতি কেজি ছোলা ৬০, মসুর ডাল ৪৪, চিনি ৪৭ ও খেজুর ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারের তুলনায় দাম কম হওয়ায় এসব পণ্যের চাহিদাও ভালো।

টিসিবির বরিশাল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঝালকাঠিতে ডিলার আছেন ৫ জন। রোটেশন প্রথায় প্রতিদিন পণ্য দেয়া হচ্ছে। ফলে একজন ডিলার ৩ দিন পরপর টিসিবি থেকে পণ্য পাচ্ছেন।

টিসিবির ডিলার ও সুমন এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী মো. বাদল হোসেন বলেন, প্রত্যেক ডিলার ৪ দিন পর পর ২০০ লিটার সয়াবিন তেল, ২০০ কেজি করে চিনি ও ছোলা এবং ৫০ কেজি খেজুর বরাদ্দ পাচ্ছেন। ট্রাকে করে এসব পণ্য বিক্রি করা হয়। ক্রেতার চাহিদা বেশি হওয়ায় একদিনেই সব পণ্য বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। তবে চাহিদার তুলনায় আমরা সরবরাহ করতে না পেরে জনসাধারণের তোপের মুখে পড়ে কৈফিয়ত দিতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে টিসিবির বরিশাল অফিস প্রধান মো. আনিসুর রহমান বলেন, আমি নিজেও দেখেছি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা আছে। প্রত্যেক ডিলারের ট্রাক ঘিরে ভোক্তাদের জটলার সৃষ্টি হয়। অনেকে পণ্য না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। তবে কেন্দ্রীয় দফতর থেকে যেভাবে নির্দেশনা রয়েছে, আমরা সেভাবে পণ্য সরবরাহ করছি। ডিলার বা পণ্য বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।

আতিকুর রহমান/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।