দুই দিনেই সড়কের এই অবস্থা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চাঁদপুর
প্রকাশিত: ০১:১৪ পিএম, ১৯ মে ২০১৯

চাঁদপুরের কচুয়ায় রাস্তা পাকাকরণের দুই দিনের মধ্যেই পিচ ঢালাই উঠে গেছে। এ নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত ১৪ মে (মঙ্গলবার) বিটুমিন ঢালাই দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হলেও ১৬ মে (বৃহস্পতিবার) সকালে গ্রামবাসী হাঁটতে গিয়ে দেখেন জুতার সঙ্গে পিচ ঢালাই রাস্তা থেকে উঠে যাচ্ছে।

তবে স্থানীয় ঠিকাদার মো. সুমন প্রধানীয়া বলেন, এলাকার কিছু লোকজন হাত দিয়ে পিচ ঢালাই উঠিয়ে ফেলেছেন।

স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, চাঁদপুর জেলার কচুয়া-কাশিমপুর সড়কের মনপুরা গ্রামের ভেতরে ৪ কিলোমিটার বিটুমিন রাস্তা নির্মাণে টেন্ডার হয় ২০১৫ সালে। শুরু থেকেই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। নিম্নমানের ইট সামগ্রী দিয়ে কাজ করেন এই ঠিকাদার। ওই ভাবেই রাস্তার কাজ ফেলে রাখেন প্রায় দুই বছর। এতে পথচারীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন।

এলাকাবাসী জানান, ধীর গতির এই কাজে ব্যবহৃত হয় নিম্নমানের ইট-বালু ও পাথর। রাস্তার দুই পাশের রেলিংয়ের ক্ষেত্রে ১ নম্বর ইট ব্যবহার হয়নি। রাস্তায় বিটুমিন না দিয়েই পিচ ঢালাই করেন ঠিকাদার।

এ বিষয়ে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা আফরোজ বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। স্থানীয় প্রকৌশলীকে সরেজমিনে দেখে কাজ নিম্নমানের হলে বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি।

Chandpur

কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেন জানান, এখনো ঠিকাদারের বিল দেয়া হয়নি। কেন রাস্তাটি এমন হলো তা আমরা খতিয়ে দেখবো। প্রয়োজনে এ রাস্তার কাজ আবার করা হবে।

কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির বলেন, কাজের মান খুবই খারাপ হয়েছে। হাত দিয়েই পিচ ঢালাই তুলা যাচ্ছে। পরীক্ষা করে দেখা গেছে সড়কটি খুবই নিম্নমানের হয়েছে। তাই উপজেলা প্রকৌশলীকে কাজটি পুনরায় করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তবে গ্রামবাসী জানিয়েছে, রাস্তাটির ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার মনপুরা গ্রামে ৪ কিলোমিটার সড়কের জন্যে প্রায় তিন কোটি টাকা ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বরাদ্দ দেয়া হয়। সেই কাঁচা রাস্তা ২০১৯ সালের মে মাসে পাকাকরণের কাজ শুরু হয়।

ইকরাম চৌধুরী/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।