টেকনাফে গ্রেফতারের পর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবক নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফে গ্রেফতারের পর ইয়াবা উদ্ধারে গিয়ে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মো. ইব্রাহিম (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. ইব্রাহিম টেকনাফের সাবরাং ইউপির শাহপরীরদ্বীপ মিস্ত্রী পাড়ার নুরুল আমিন প্রকাশ ভল্লার ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
টেকনাফ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এসআই দীপক বিশ্বাস অভিযান চালিয়ে বহু মামলার পলাতক আসামি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসাসী ইব্রাহিমকে শাহপরীরদ্বীপ কোনারপাড়া হতে গ্রেফতার করে। ইব্রাহিম জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গত কয়েক দিন পূর্বে ইয়াবার একটি বড় চালান ইঞ্জিন চালিত বোট যোগে মিয়ানমার হতে এনে শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিমপাড়া ফিশিং বোট ঘাটের উত্তর পাশে ঝাউবাগান সংলগ্ন বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাশে বালুর চরে রাখা হয়েছে। চালানের বেশির ভাগ ইয়াবা বিক্রি করলেও এখনো কিছু ইয়াবা সেখানে মজুদ রয়েছে।
ওসি আরও জানান, রাতে তা উদ্ধারের জন্য শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিমপাড়া ফিশিং বোট ঘাটের উত্তর পাশ ঝাউ বাগান সংলগ্ন বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাশে বালুর চরে যায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইব্রাহিমের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলে এসআই দীপক বিশ্বাস, কনস্টেবল মো. শাকিল ও কনস্টেবল মো. লিটু আহত হন। নিজেদের জীবন রক্ষার্থে পুলিশ ৩৮ রাউন্ড পাল্টা গুলি চালায়। সেখানে ইব্রাহিম গুলিবিদ্ধ হয়। গোলাগুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে অস্ত্রধারীরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলের আশপাশ তল্লাশি করে আসামিদের বিক্ষিপ্তভাবে ফেলে যাওয়া ৩টি এলজি, ১১ রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ, ১৩ রাউন্ড কার্তুজের খোসা এবং ৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে গুরুতর আহত গুলিবিদ্ধ মো. ইব্রাহিমকে রাত পৌনে ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে তার মৃত্যু হয়। নিহত ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের চারটি মামলার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে দাবি করেন ওসি।
সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/জেআইএম