ছাত্রীকে নিজের নগ্ন ছবি পাঠিয়ে ফাঁসলেন শিক্ষক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: ১২:৩১ পিএম, ১৭ মে ২০১৯
প্রতীকী ছবি

ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর ফেসবুক ইনবক্সে ‘নগ্ন ছবি’ পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর জীববিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রেজাউল করিম গা ঢাকা দিয়েছেন।

এ ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কাছে শাস্তিমূলক বদলির সুপারিশ করেছে। তবে এই ঘটনায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ছাত্রী বা অন্য কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ মে দশম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর ফেসবুকের মেসেজ বক্সে শিক্ষক রেজাউল করিম তার ‘নগ্ন ছবি’ পাঠান। ঘটনার পর ওই ছাত্রী কয়েকজন শিক্ষকের ইনবক্সে ছবিটি ফরোয়ার্ড করে।

এ ঘটনা শিক্ষকেরা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু সাইদ মো. ফরিদকে জানান। তিনি শরীরচর্চা শিক্ষক মাসুম বিল্লাহকে তদন্তের দায়িত্ব দিলে মাসুম বিল্লাহ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পান।

তদন্তের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ বলেন, ওই ছবির সঙ্গে শিক্ষক রেজাউল করিমের বাসার দৃশ্যের মিল খুঁজে পাওয়া গেছে। এ কারণে তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয় থেকে বদলির সুপারিশ করেছি পাশাপাশি বিদ্যালয়ের অপর শিক্ষকরাও রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে সুপারিশ করেছেন। এছাড়া ওই ছবির সঙ্গে কিছু অশ্লীল মেসেজও পাওয়া গেছে। যা তিনি ছাত্রীর ইনবক্সে দিয়েছেন।

এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক রেজাউল করিম ঘটনা আড়াল করতে তার ফেসবুক আইডি ‘হ্যাক’ হওয়ার কথা জানিয়ে ওইদিনই ঝালকাঠি সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরদিন ১২ মে এ ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ও তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বরাবর একটি আবেদন করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকেরা জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বেও ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ ও যৌন হয়রানির মৌখিক অভিযোগ রয়েছে। বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকাকেও তিনি কিছুদিন আগে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে তারা জানান।

এ প্রসঙ্গে ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু সাইদ মো. ফরিদ বলেন, আমি শিক্ষকদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে বৃহস্পতিবার উপ-পরিচালকের বরাবর অতি দ্রুত শাস্তিমূলক বদলির সুপারিশ করেছি।

তিনি আরো বলেন, এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অতীতে এ ধরনের আরো অভিযোগ রয়েছে।

এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।