সাতক্ষীরার ২শ টন আম যাবে ইউরোপে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ০৫:৪১ পিএম, ১৫ মে ২০১৯

মিষ্টি আমে ভরে গেছে সাতক্ষীরার হাট-বাজার। প্রশাসনিক আদেশের পর গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ ও বৈশাখী আমসহ স্থানীয় জাতের আম বাজারজাত শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে সাতক্ষীরার বিখ্যাত হিমসাগর আম পেতে এখনও সময় লাগবে ১৫ দিন। সাতক্ষীরার হিমসাগর আম এ বছরও ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে রফতানি হবে।

তীব্র দাবদাহের কারণে এ বছর সাতক্ষীরা জেলায় আম আগে থেকেই পরিপক্ব হয়ে হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতেই ব্যবসায়ীরা স্থানীয় জাতের আম ভাঙতে শুরু করেছেন। ১২ মে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আদেশের পর গোবিন্দভোগ ও গোপালভোগ আম ব্যাপকভাবে বাজারজাত শুরু হয়। জেলা শহরের বড়বাজার, তালা, পাটকেলঘাটা, নলতা, পারুলিয়া, কালিগঞ্জ ও কলারোয়াসহ গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারগুলো আমে ভরে গেছে।

সাতক্ষীরার বড় বাজারের আম ব্যবসায়ী ইদ্রিস মোড়ল জাগো নিউজকে জানান, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা সাতক্ষীরার বিভিন্ন হাটবাজারে অবস্থান করছেন। প্লাস্টিক ক্যারেটে এসব আম প্রক্রিয়াজাত করে পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। প্রতিদিন সাতক্ষীরা থেকে ৫ শতাধিক টন আম দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে চলে যাচ্ছে। ১৫ দিন পর হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি আম ভাঙা শুরু হলে আমের বাজার এখানকার বাজারের থেকে দ্বিগুণ হবে। বর্তমানে দেশি আম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। এছাড়া হিমসাগর বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা প্রতি কেজি। তবে হিমসাগর এখনও ভাঙা শুরু হয়নি। কিছু আম যাদের পেকে গেছে শুধু তারাই বাজারজাত করছেন।

Satkhira-Mango-1

তালা সদরের শিবপুর এলাকার রাবেয়া বসরী বৈশাখী বলেন, ফলন ভালো হলেও ঝড়ে গাছের আম পড়ে যাচ্ছে। তীব্র গরমের কারণে অন্য বছরের তুলনায় এ বছর আম আগেই পেকে গেছে। গত বছর থেকে এ বছর আমের ফলন বেশি হয়েছে। তবে আমের দাম বেশি।

সাতক্ষীরার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অরবিন্দ বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেন, সাতক্ষীরায় এবার আমের ফলন ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে আম বাজারজাত শুরু হয়েছে। এ বছর সাতক্ষীরা থেকে হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি আম ইউরোপে রফতানির জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০ টন। এ কারণে জেলার ১৪ হাজার ৪৫১টি হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি গাছ বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে।

এছাড়া অপরিপক্ব আম ভাঙা থেকে বিরত থাকতে ব্যবসায়ীদের বিশেষভাবে বলা হয়েছে। তাছাড়া আমে কোনো প্রকার কেমিক্যাল মিশ্রণ না করার জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। কেউ এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আকরামুল ইসলাম/এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।