অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তা
ঝালকাঠিতে অবসরপ্রাপ্ত কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ মৃধা বাসা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ রয়েছেন। ওয়াদুদ মৃধা উপজেলার রাজাপুর সদরের মৃত লতিফ মৃধার ছেলে।
ওয়াদুদের বড় বোন জাহানারা বেগম জানান, কৃষি ব্যাংকের ঝালকাঠি সদর শাখায় থাকা অবস্থায় ২০০৯ সালে বিবাহিত মোসা. জেসমিনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওয়াদুদের। পরে তারা একসঙ্গে বসবাস শুরু করেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে ওয়াদুদ মৃধার কাছে তার বোনরা জানতে চাইলে তিনি জানান জেসমিনকে তিনি বিয়ে করেছেন। তাদের একমাত্র ভাই হওয়ায় তারা সেটা মেনে নেন। তবে ওয়াদুদ মৃধার সঙ্গে জেসমিনের বিয়ের কোনো প্রমাণপত্র তারা পাননি। পরে ওয়াদুদ জেসমিনসহ তার আগের স্বামীর এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে রাজাপুর উপজেলা সদরের বাসায় ওঠে। কিছুদিন পর জেসমিনের আগের স্বামী রাজা মিয়াও রাজাপুরে এসে তাদের সঙ্গে বসবাস করতে থাকে।
অসামাজিক এমন বসবাস এলাকার লোকজনের নজরে এলে পরিবারের কাউকে কিছু না বলে ওয়াদুদ আবার জেসমিনকে নিয়ে ঝালকাঠির পালবাড়ি এলাকায় চলে যান। এক পর্যায়ে ওয়াদুদের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, জেসমিন ও তার ছেলে-মেয়েরা ওয়াদুদ মৃধাকে প্রায় নির্যাতন করতো। গত ৫ মে হঠাৎ জেসমিন তার ছেলে-মেয়েসহ অপরিচিত লোকজন নিয়ে মোটরসাইকেলে তাদের (জাহানারার) বাড়িতে আসে এবং জানায় তার ভাই ওয়াদুদ মৃধাকে পাওয়া যাচ্ছে না। জাহানারাসহ তার অন্য বোনরা তাদের আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি খোঁজ খবর নিলেও কোথাও তার সন্ধান মেলেনি। কিন্তু এখন পর্যন্ত জেসমিন ওয়াদুদ মৃধার আর কোনো খোঁজ নেয়নি বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, প্রায় একমাস আগে জেসমিন ও তার ছেলে-মেয়েরা চাপ দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ঝালকাঠি সদর শাখা থেকে ২০ লাখ টাকা উত্তোলন ও রাজাপুর সদর থেকে ওয়াদুদের পৈতৃক সম্পত্তি ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করিয়ে হাতিয়ে নেয়। এই ৩০ লাখ টাকাই ওয়াদুদ মৃধার কাল হয়েছে। তার ভাইয়ের টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে তার ভাইকে হত্যা বা গুম করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
মঙ্গলবার রাজাপুর প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব তুলে ধরেন মোসা. জাহানারা বেগম। এ সময় ওয়াদুদ মৃধার অন্য স্বজনদের মধ্যে মেজ বোন মোসা. চামেলি বেগম, ভাগিনা মো. শহিদুল খান ও বোনজামাই আব্দুল হক উপস্থিত ছিলেন। ওয়াদুদ মৃধার খোঁজ করতে তারা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
আতিকুর রহমান/এফএ/জেআইএম