নার্স তানিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা : এবার জবানবন্দি দিলেন হেলপার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ
প্রকাশিত: ১২:১৯ এএম, ১৫ মে ২০১৯

কিশোরগঞ্জে চাঞ্চল্যকর চলন্ত বাসে নার্স তানিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুই নম্বর আসামি স্বর্ণলতা বাসের হেলপার মো. লালন মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আল-মামুন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, রোববার রাতে আদালতে জবানবন্দি দেন মামলার প্রধান আসামি বাসের চালক নূরুজ্জামান নূরু মিয়া। এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলার এজহারভুক্ত চার আসামির মধ্যে দুইজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন। জবানবন্দিতে বাসের চালক, হেলপারসহ চালকের এক আত্মীয় মিলে নার্স তানিয়াকে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন আসামি লালন মিয়া। মেয়েটিকে ধর্ষণ, হত্যাসহ সবকিছু বর্ণনা করেছেন, স্বর্ণলতা বাসের হেলপার লালন মিয়া।

মামলার প্রধান দুই আসামি তাদের দোষ স্বীকার করে নেয়ায় চাঞ্চল্যকর এ মামলার একটি ভালো অবস্থানে পৌঁছানো গেছে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, সরাসরি ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকায় মামলার অপর আসামিকে ধরার জন্য পুলিশের দুটি বিশেষ টিম মাঠে কাজ করছে।

প্রসঙ্গত, গত ৬ মে রাতে ঢাকা থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুড়ি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে ও ঢাকার কল্যাণপুর এলাকার ইবনে সিনা হাসপাতালের সিনিয়র নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়া।

তানিয়াকে বহনকারী স্বর্ণলতা পরিবহনের বাসটি কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডে আসার পর বাসের অন্য যাত্রীরা নেমে যায়। কটিয়াদী থেকে বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার পথে গজারিয়া বিলপাড় এলাকায় বাসের চালক ও সহকারীরা তানিয়ার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। পরে তানিয়ার লাশ কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে রেখে পালিয়ে যায় তারা।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই চারজনের নামে বাজিতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বাসের চালক নুরুজ্জামান নুরু, হেলপার লালন মিয়াসহ পাঁচ আসামি বর্তমানে পুলিশ রিমান্ডে রয়েছেন। এর মধ্যে গত ১১ মে রাতে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জাবানবন্দি দেন স্বর্ণলতা বাসের চালক নুরুজ্জামান নুরু। বুধবার শেষ হচ্ছে আসামিদের আট দিনের রিমান্ড।

নূর মোহাম্মদ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।