তরুণীকে গণধর্ষণ, যুবক গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ০১:২২ পিএম, ১৪ মে ২০১৯

বরগুনার চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার আসামি আলমগীর হোসেনকে (৩৫) পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৮ এর সদস্যরা। সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মির্জাগঞ্জের দোফখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পটুয়াখালী র‌্যাব-৮ ক্যাম্পের অধিনায়ক সিনিয়র এএসপি সোয়েব আহমেদ জানান, গত ২৭ এপ্রিল রাতে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী (১৮) তার চাচাতো ভাই মোহাম্মদ মানিক ও চাচা মোহাম্মদ চান মিয়া সিকদারকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে গান গাওয়ার জন্য মহেশপুরে উদ্দেশে রওনা হন। বেতাগী থানাধীন বিবিচিনি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দক্ষিণ পাশে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আসামি মো. আলমগীর হোসেন ও মো. মানিক তাদের গতিরোধ করে। এরপর ওই তরুণীর চাচাতো ভাই এবং চাচাকে মারধর করলে তারা ভয়ে পালিয়ে যান।

আলমগীর ও মানিক জোরপূর্বক টেনেহিঁচড়ে ওই তরুণীকে মোটরসাইকেলে তুলে বেতাগীর পুটিয়াখালী সুইজঘাটের উত্তর পাশে বাগানের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে দুজন তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে চাচাতো ভাই অন্যান্যদের সহযোগিতায় ওই তরুণীর খুঁজতে খুঁজতে একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং জানতে পারে আলমগীর ও মনির তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে গেছে।

তিনি আরও জানান, গত ১ মে এ ঘটনায় ওই তরুণীর চাচাতো ভাই মানিক বাদী হয়ে বেতাগী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ঘটনার পরপরই ওই এলাকা ত্যাগ করে গা ঢাকা দেয় আসামিরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাতে মির্জাগঞ্জের দোফখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি মো. আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।

বরগুনার বেতাগী এলাকার বাসিন্দা মৃত কাদের মোল্লা মুসল্লির ছেলে আলমগীর। এর আগে ঢাকা থেকে এই মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে বরগুনা থানার মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। গ্রেফতার আলমগীরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা সোয়েব আহমেদ।

মুহিবুল্লাহ চৌধুরী/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।