দেনার দায়ে পল্লী চিকিৎসকের আত্মহত্যা
ভোলায় দেনার দায়ে মিনাল কান্দি দে (৬০) নামে এক পল্লী চিকিৎসক আহত্মহত্যা করেছেন। নিহত মিনাল ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ বাপ্তা গ্রামের মৃত যোগেশ কান্তি দে’র ছেলে। সোমবার বিকেলে তার বাড়ির পাশের বাগানে গাছের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
স্থানীয়রা ও ভোলা মডেল থানা পুলিশের এসআই মো. ছগীর জানান, মিনাল কান্তি দে একজন পল্লী চিকিৎসক ছিলেন। এছাড়াও তিনি ‘যুবক’ নামে একটি এনজিওর মাঠ কর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছে। ওই সময় স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা নিয়ে যুবকের কাছে জমা দেয়। পরে গত কয়েক বছর আগে যুবক নামে এনজিওটি উধাও হয়ে গেলে স্থানীয়রা টাকার জন্য মিনাল কান্তিকে চাপ প্রয়োগ করে। ওই সময় স্থানীয়দের চাপে মিনাল কান্তি দীর্ঘদিন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ছিলেন। পরে কয়েক মাস আগে এলাকায় এসে বিভিন্ন এনজিওর কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ২/৩ লাখ টাকা পরিশোধ করেন।
গত কয়েক দিন ধরে বাকি লোকজন পাওনা টাকার জন্য তাকে চাপ দিয়ে আসছিল। দেনাদারদের চাপে বিকেলে তিনি আত্মহত্যা করেন। স্থানীয়রা তার ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
ভোলা মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. ছগির মিঞা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
জুয়েল সাহা বিকাশ/এমএএস/পিআর