ব্রিজ আছে, রাস্তা নেই
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নে একটি ব্রিজ আছে, তবে সেই ব্রিজে ওঠার রাস্তা নেই। নির্মাণের ছয় মাসেই বন্যার পানিতে ভেঙে যায় সংযোগ সড়ক। পরে এ সড়কটি আর সংস্কার হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে চরাঞ্চলের মানুষকে পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। উপজেলার হাজার হাজার মানুষের চলাচলে প্রতিদিনের এই দুর্ভোগ লাঘবে কোনো জনপ্রতিনিধি এগিয়ে না আসায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের বন্যার স্রোতে এখানে থাকা একটি বাঁশের সাঁকো ভেসে যায়। এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২৭ লাখ ৯৪ হাজার ২৫৬ টাকা ব্যয়ে বেকরির চর গ্রামের ইজ্জত আলীর বাড়ি সংলগ্ন সড়কে ৩০ ফুট দীর্ঘ ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।
নির্মাণের ছয় মাস পরই উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদীর পানির তোপে সৃষ্ট বন্যার পানির স্রোতে ব্রিজটির দুই পাশের সংযোগ সড়ক ধসে যায় এবং ব্রিজটির একপাশ দেবে যায়। দীর্ঘ দুই বছর অপেক্ষার পরও ব্রিজটির সংযোগ সড়ক মেরামত করা হয়নি এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজটির সংস্কার করা হয়নি। ফলে ওই পথে পথচারী এবং যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চরাঞ্চলবাসীর আর কোনো কাজে আসছে না ব্রিজটি।
স্থানীয় বাসিন্দা ফজল হোসেন বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের ছয় মাস পর বন্যার স্রোতে দুই পাশের সংযোগ সড়ক ভেসে যায়। যার কারণে ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে না। দুই বছর ধরে আমরা চরাঞ্চলবাসী কষ্ট করে নৌকা ও পায়ে হেঁটে নদী পার হচ্ছি। বিশেষ করে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট হয়। কিন্তু এখনো ব্রিজ কিংবা সড়ক সংস্কার করা হয়নি।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ বলেন, ব্রিজটির দুই পাশের সংযোগ সড়ক মেরামতের জন্য একাধিকবার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে তাগাদা দেয়া হলেও আজ তা মেরামত করা হয়নি। কর্মসৃজন প্রকল্পের মাধ্যমে ব্রিজের সংযোগ সড়ক মেরামতের পরামর্শ দিয়েছে পিআইও। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নুরুন্নবী প্রামাণিক বলেন, বন্যার স্রোতে ব্রিজটির সংযোগ সড়ক ভেসে গেছে। বরাদ্দ না থাকায় তা মেরামত করা সম্ভব হয়নি। তবে ইউপি চেয়ারম্যানকে কর্মসৃজন প্রকল্পের মাধ্যমে ব্রিজের সড়কটি মেরামতের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। দ্রুত ব্রিজটি মেরামত করা হবে।
জাহিদ খন্দকার/এএম/পিআর