ছাতকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
সুনামগঞ্জের ছাতকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত আরো ৪০ জন। এদের মধ্যে গুরুতর আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের পীরপুর বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ছাতক থানার ওসি আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন, পীরপুর গ্রামের মৃত মাসিক মিয়ার ছেলে বতু মিয়া (৪৫) ও একই গ্রামের শমসর আলীর ছেলে কবির আহমদ (২৩)। এ ঘটনায় ওই এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অহতরা হলেন, লুৎফুর রহমান (২৫), ইব্রাহিম আলী (২৩), হারিছ উদ্দিন (৫০), আনহার মিয়া (৩৫), দবির উদ্দিন (২০). জিতু মিয়া (৩২), জুয়েল আহমদ (২২), ফুলতেরা বেগম (৫৫) ও আফিয়া বেগম ( ৬০), শ্যামল (৩০), রাজাউর রহমান রাজা (৫০) সেলিম আহমদ (১৮), আব্দুল করিম (৪৫)। তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পীরপুর গ্রামের মৃত আলতাবুর রহমানের ছেলে লিলু আহমদ মস্তান মেম্বার ও একই গ্রামের আনফর আলীর ছেলে ময়না মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। আর এরই জের ধরে দুপুরে পীরপুর বাজারে লিলু আহমদ মস্তান পক্ষের সেলিম আহমদ ও আব্দুল আলিমের সঙ্গে ময়না মিয়া পক্ষের কবির আহমদের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে কবির আহমদ গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনার জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপি চলা এ সংঘর্ষে নারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত কবির আহমদ ও বতু মিয়াকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পীরপুর গ্রামের মরতবা আহমদের ছেলে সেলিম আহমদ, আশরাফ উদ্দিনের ছেলে রাজাউর রহমান রাজা, আব্দুল করিমের ছেলে শ্যামল, ইুদ্রছ আলীর ছেলে আব্দুল কদ্দুছ ও এক মহিলাকে সিলেট থেকে আটক করেছে পুলিশ।
ছাতক থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আশরাফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বিকেলে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত এসপি আব্দুল মমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তিনি আরো জানান, দুই পক্ষের মধ্যে একমাস আগেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। থানায় উভয়পক্ষের একাধিক মামলাও রয়েছে। আর এরই জের ধরে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
ছামির মাহমুদ/এআরএ/পিআর