স্কুলছাত্রী অপহরণ মামলায় যুবকের ১৪ বছর কারাদণ্ড
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে (১৫) অপহরণের মামলায় বাপ্পি বাড়ৈ নামে এক যুবককে ১৪ বছর কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইনব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ আসামির অনুপস্থিতিতে রোববার বিকেলে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত বাপ্পি বাড়ৈ আগৈলঝাড়া উপজেলার মরাআন্দী গ্রামের মৃত অবনী বাড়ৈর ছেলে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইনব্যুনালের পেশকার মো. আজিবর রহমান মামলার বরাত দিয়ে জানান, স্কুলে যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতো বাপ্পি বাড়ৈ। এ ঘটনা অভিভাবককে জানায় ওই স্কুলছাত্রী। অভিভাবকরা বাপ্পিকে এ ব্যাপারে সাবধান করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ ঘটনার জেরে ২০০৭ সালের ১৫ মার্চ বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে ওই শিক্ষর্থীকে অপহরণ করে বাপ্পি। এরপর তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়ার জন্য কমলাপুর রেলস্টেশনে নেয়া হয়। এ সময় কৌশলে ওই ছাত্রী পালিয়ে সিলেটগামী রেলে ওঠে। সেখানে তার বাবা চাকরি করতেন। বাবাব কাছে গিয়ে এক মাস অবস্থান করে বাড়ি ফিরে আসে সে। এদিকে মেয়েকে অপহরণের ঘটনায় ২০ মার্চ তার মা বাদী হয়ে অপহরণকারী বাপ্পি ও তার ভাই উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আগৈলঝাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকতার উদ্দিন খান তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৬ মে উজ্জ্বলকে অব্যাহতি দিয়ে শুধু বাপ্পিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আদালত এ দণ্ডাদেশ দেন।
সাইফ আমীন/এনডিএস/