পদ্মায় ভেসে উঠলো নিখোঁজ দুইজনের লাশ
মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিখোঁজের দুইদিন পর পদ্মা নদী থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা তিনজনে দাঁড়ালো। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাঁঠালবাড়ি লঞ্চ ঘাটের কাছে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, শনিবার সকাল থেকেই নিখোঁজ যাত্রীদের সন্ধানে পদ্মা নদীতে নামে নিখোঁজদের স্বজন, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাঁঠালবাড়ি লঞ্চ ঘাটের কাশবনের কাছে ভাসমান অবস্থায় শিশু আমির হামজা (৬) ও মিরাজ হোসেনের (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আমির হামজা শিবচর উপজেলা দত্তপাড়া ইউনিয়নের ইমরান ফরাজীর ছেলে এবং মিরাজ হোসেন বরিশালের বানাড়ীপাড়া উপজেলার লবণসারা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। এনিয়ে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল তিনজনে। ঘটনার দিন রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিবচর হাসপাতালে মুরাদ হোসেন নামে এক যাত্রী নিহত হন।
শিবচর ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মোর্তজা ফকির জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পদ্মা নদীতে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে নামেন। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাঁঠালবাড়ি লঞ্চ ঘাটের পাশে ভাসমান অবস্থায় দুইজনের মরদেহ পাওয়া যায়।
শিবচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন মোল্লা জানান, ঘটনার পর থেকে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস নদীতে তল্লাশি চালায়। শনিবার সকালে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ২০ জন যাত্রী নিয়ে স্পিডবোট চালক আল আমিন কাঁঠালবাড়ি ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেন। স্পিডবোটটি কাঁঠালবাড়ি ৪নং ফেরিঘাট এলাকায় পৌঁছামাত্রই বিপরীতমুখী একটি ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে স্পিডবোটটি ডুবে অন্তত ১০ যাত্রী আহত হয়। আহতদের মধ্যে তিনজনকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে মো. মুরাদ (২৫) নামে একযাত্রী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ কে এম নাসিরুল হক/আরএআর/জেআইএম