আশ্রয়কেন্দ্রে উঠছেন সাতক্ষীরার উপকূলীয় বাসিন্দারা
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ০২:৩৪ পিএম, ০৩ মে ২০১৯
শুক্রবার সকাল থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বদলে গেছে। আকাশে কালো মেঘ আর বৃষ্টি শুরু হয়েছে সাতক্ষীরা জেলা জুড়ে। বৃষ্টির সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া। দুপুর পৌনে একটার দিক থেকে সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব পড়তে শুরু করে। উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়নে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, জেলার তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলা আশাশুনি, শ্যামনগর ও কালিগঞ্জের উপকূলবর্তী সকল বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত দুই হাজারেরও অধিক মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। যারা আসতে চায় না তাদেরও নেয়া হবে।
ঝুঁকি ও ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা এড়াতে সম্ভাব্য সব ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। ১৩৭টি আশ্রয় কেন্দ্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে সোলার, চার্জার লাইট ও মোমবাতির মাধ্যমে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ১৮ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। বাকি মানুষদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা দিলে তাৎক্ষণিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সহায়তায় মেরামতের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের ১১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলায় শুকনা খাবার ও ত্রাণ পৌঁছে গেছে। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
এদিকে জেলা আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, ফণীর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার নদীগুলোতে পানির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ফণী শুক্রবার মধ্যরাত নাগাদ সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানাতে পারে। ঝড়ের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার। সাতক্ষীরা শহরে এর প্রভাব খুব বেশি না পড়লেও উপকূলীয় অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
আকরামুল ইসলাম/এফএ/এমকেএইচ