সাতক্ষীরায় রাতে আঘাত হানবে ফণী
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ১১:১৯ এএম, ০৩ মে ২০১৯
ঘূর্ণিঝড় ফণীর শুক্রবার মধ্যরাত নাগাদ সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত হতে পারে। ঝড়ের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার। সাতক্ষীরা শহরে এর প্রভাব খুব বেশি না পড়লেও উপকূলীয় অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, মধ্যরাতে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানলেও সন্ধ্যা থেকে এর প্রভাব পড়তে শুরু করবে। হালকা ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাতের মধ্য দিয়ে এর প্রভাব শুরু হবে। আবহাওয়া অফিস থেকে ৭ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ফণীর প্রভাবে আকাশ মেঘলা হতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে প্রভাবের মাত্রা বাড়বে।
এদিকে ফণীর প্রভাবে জনসাধারণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সর্বোচ্চ ও সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবক টিমও প্রস্তুত রয়েছে।
সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকা আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল জানান, নদীর পানি এখনো স্বাভাবিক রয়েছে। পানির মাত্রা বাড়েনি। তবে ফণীর প্রভাব মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে।
জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল জানান, ফণীর প্রভাব মোকাবিলায় জেলার তিনটি উপকূলীয় ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলা শ্যামনগর, আশাশুনি এবং কালিগঞ্জে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাকি চার উপজেলাতেও প্রস্তুতি রয়েছে।
জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল বলেন, জনগণের জানমালের পাশাপাশি গবাদি পশুর জীবন রক্ষায় উঁচু জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সতর্কতা প্রচারের জন্য পাড়ায় পাড়ায় মসজিদে মাইকিং করা হচ্ছে। জেলা সদর এবং সব উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, সাতক্ষীরার উপকূলীয় আশাশুনি, শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ এই তিন উপজেলায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে সতর্কীকরণ মহড়া চলছে। মাইকিং করে সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে।
আকরামুল ইসলাম/এফএ/এমকেএইচ