ভোলায় ফণীর প্রভাবে উত্তাল নদী, করা হচ্ছে মাইকিং
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ভোলা
প্রকাশিত: ০৫:১৭ পিএম, ০২ মে ২০১৯
ভোলায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী উত্তাল হয়ে উঠেছে। স্বাভাবিকের চেয়ে পানির উচ্চতা একটু বেড়েছে। আকাশ জুড়ে কালো মেঘ রয়েছে। তবে ভোলা আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক বলছেন- বৃস্পতিবার ভোলায় বৃষ্টি হওয়ার কোনো সম্ভবনা নেই। আগামীকাল শুক্রবার সকাল বা দুপুরের দিকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে।
জেলায় ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় জনসচেতনার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া হুঁশিয়ারি সংকেত দেয়া হচ্ছে। দুপুর থেকে জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) ও জেলা রেডক্রিসেন্টের পক্ষে নদীর র্তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং করা হচ্ছে।
ভোলা জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উপ-পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি আমরা ৬৮০ জন ইউনিট লিডারদের নিয়ে তিনটি সভা করেছি। মানুষকে সচেতন করার লক্ষে ভোলা শহরসহ নদীর তীরবর্তী এলাকায় এবং চরাঞ্চলগুলোতে মাইকিং করা হচ্ছে। এতে জেলার ১০ হাজার ২০০ জন সিপিপি কর্মী নিয়োজিত রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় জেলায় ৬৫৭টি সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। সেগুলো গতকালই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও মুজিব কিল্লাও প্রস্তুত রয়েছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, ভোলা জেলায় আমরা ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। ঘূর্ণিঝড় কবলিত মানুষের জন্য ২ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবর প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়াও জেলায় ৩৮টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে একটি ও সাত উপজেলায় ৭টিসহ মোট আটটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ০৪৯১৬১৩৪৫ (টিএনটি) ও ০১৯২৮৯০০৭৫২ নাম্বারে ফোন করে মানুষ যেকোন সহযোগিতা নিতে পারবে। এছাড়ও জেলার সকল সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
জুয়েল সাহা বিকাশ/আরএআর/পিআর