চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ওঠানামা বন্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০২:৩১ পিএম, ০২ মে ২০১৯
ভয়ঙ্কর রূপ নিতে থাকা সুপার সাইক্লোন ‘ফণী’র কারণে চট্টগ্রাম সুমদ্রবন্দরে সব ধরনের পণ্য ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বন্দরের জেটি ও বহির্নোঙরের জাহাজ আনলোডিং কার্যক্রম। মাঝ সাগরে থাকা মাদার ভেসেলে যাচ্ছে না কোনো লাইটারেজ জাহাজ।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-২৮) জানানো হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ সামান্য উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এ কারণে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর সংকেত নামিয়ে ৬ নম্বর সতর্ক বিপদ দেখাতে বলা।
এটি বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১০৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক জাগো নিউজকে জানান, ৬ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর চট্টগ্রাম সুমদ্রবন্দরে সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব অ্যালার্ট-থ্রি জারি করা হয়েছে। ঝুঁকি এড়াতে বন্দরের জেটি থেকে সব জাহাজকে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। জেটিতে ক্রেনসহ কনটেইনার ও পণ্য ওঠানামায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম শক্তভাবে বেঁধে রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর ও বহির্নোঙর মিলিয়ে বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে মোট জাহাজ ছিল ১৬৮টি। এর মধ্যে পণ্যবোঝাই জাহাজ ছিল ৮০টি। আবার এর মধ্যে ১৬টি জাহাজ জেটিতে পণ্য খালাসের জন্য নোঙর করা ছিল। বাকি ৬৪টি জাহাজ ছিল বহির্নোঙরের। ৬ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর জেটি থেকে ১৬টি জাহাজকে সরানো হচ্ছে।’
এদিকে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্র বলছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজারসহ উপকূলবর্তী ১৪টি জেলার চরসংলগ্ন সাগরে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার সময় ৪ থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হতে পারে। এতে জেলাগুলো প্লাবিত হতে পারে।
আবু আজাদ/জেডএ/জেআইএম