ঘটনার পর ভয়ে চুপ ছিল মেয়েটি, কিন্তু জামা-কাপড়ে রক্তের দাগ ছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বরিশাল
প্রকাশিত: ০৮:৫৮ পিএম, ০১ মে ২০১৯
প্রতীকী ছবি

জিলাপি খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কটকস্থল গ্রামে প্রথম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে ওই ছাত্রীর মা গৌরনদী থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় একই গ্রামের মৃত আকফাত বেপারীর ছেলে গাছ ব্যবসায়ী আলী বেপারীকে (৪৫) আসমি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ওই স্কুলছাত্রীর বাবা কিছুদিন আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর থেকে তিনি প্রথম স্ত্রী ও তিন সন্তানকে ছেড়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে অন্যখানে বসবাস করছেন। তখনই থেকেই গৃহকর্মীর কাজ করে তিন সন্তানকে নিয়ে সংসার চালাচ্ছেন প্রথম স্ত্রী। কাজের জন্য দিনের বেশিরভাগ সময় তাকে বাইরে থাকতে হয়। এ সুযোগে প্রতিবেশী দুই সন্তানের জনক আলী বেপারীর নজর পড়ে তার ৯ বছর বয়সী মেয়ের ওপর। এরপর থেকে আলী বেপারী সুযোগ খুঁজতে থাকেন।

ঘটনার দিন গত ২৫ এপ্রিল মেয়েটিকে একা পেয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে জিলাপি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন তিনি। ঘটনাটি কাউকে না বলতে মেয়েটিকে হুমকি দিয়ে চলে যান তিনি। ভয়ে মেয়েটি এ ঘটনা কাউকে না জানিয়ে গোপন করে। পরদিন জামা-কাপড়ে রক্তের দাগ দেখে তার চাচি এর কারণ জানতে চান। এক পর্যায়ে সব কিছু বলে মেয়েটি। পরে তিনি বিষয়টি তার মাকে জানান। তবে লোকলজ্জার ভয়ে তার মা বেশ কিছুদিন ঘটনাটি গোপন করে রাখেন। এরই মধ্যে বিষয়টি প্রতিবেশীরা জেনে যান।

স্থানীয়রা আরও জানান, মঙ্গলবার ওই স্কুলছাত্রীর মা কয়েকজন স্বজনকে সঙ্গে নিয়ে বিচার চাইতে আলী বেপারীর বাড়িতে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আলী বেপারী। ধর্ষণের ঘটনা সাজানো বলে উল্টো স্কুলছাত্রীর মাকে হুমকি দেন। বিষয়টি নিয়ে বুধবার সকালে এলাকার গণমান্য লোক নিয়ে বসবেন বলে আলী বেপারী স্কুলছাত্রীর মাকে জানান। তবে তিনি মঙ্গলবার রাতেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় গৌরনদী থানা পুলিশের ওসি গোলাম ছরোয়ার জানান, বুধবার বিকেলে ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। আসামি আলী বেপারীকে গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা চলছে।

সাইফ আমীন/এমএএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।