ছবি তুলে শিক্ষিকাকে শিক্ষা কর্মকর্তার কুপ্রস্তাব, গায়ে হাত

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ১২:২৯ পিএম, ০১ মে ২০১৯
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তোফায়েল হোসেন

মাদারীপুর সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তোফায়েল হোসেনের বিরুদ্ধে এক শিক্ষিকাকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মাদারীপুর সদর থানায় মামলা করেছেন ওই শিক্ষিকা। মামলা করার কারণে ওই শিক্ষিকার চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন অভিযুক্ত তোফায়েল হোসেন।

মামলার নথি ও সংশ্লিষ্ঠ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসে অফিসিয়াল কাজে যান ওই শিক্ষিকা। এ সময় ওই শিক্ষিকার কয়েকটি ছবি তুলেন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তোফায়েল হোসেন। ছবি তোলার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি ওই শিক্ষিকাকে পাশের আরেকটি নির্জন কক্ষে নিয়ে যান। এ সময় ওই ছবির সঙ্গে অশালীন ছবি যুক্ত করে ইন্টারেনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে তাকে কুপ্রস্তাব দেন। পরে জোরপূর্বক ওই শিক্ষিকার কাপড় খোলার চেষ্টা করেন। ধস্তাধস্তিতে ওই শিক্ষিকার পরিধেয় বোরকা ছিঁড়ে যায়। এ সময় ওই শিক্ষিকা চিৎকার শুরু করলে তাকে ছেড়ে দেন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তোফায়েল হোসেন।

বিষয়টি মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসককে জানানো হয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে মঙ্গলবার রাতে মাদারীপুর সদর থানায় মামলা করেন ওই শিক্ষিকা।

এ বিষয়ে ওই শিক্ষিকা বলেন, আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করলো, আবার আমাকেই চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমি ওর বিচার চাই।

তবে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে সহকারী শিক্ষা কর্মর্কতা মো. তোফায়েল হোসেন জানান, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তবে কেন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেননি তিনি।

মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন গিয়াস বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। যেহেতু বিষয়টি অফিসিয়ালভাবে মীমাংসা যোগ্য নয় তাই ওই শিক্ষিকা মামলা করেছেন।

মাদারীপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান বলেন, ওই শিক্ষিকা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। দ্রুত সময়ই আসামিকে গ্রেফতার করা হবে।

একেএম নাসিরুল হক/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।