পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করায় বাদি কারাগারে
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের আড়ংঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমীর তৈমুরসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে বিপাকে পড়েছেন বাদি মো. জাহিদুল ইসলাম। উল্টো তাকে প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাতে জাহিদুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এর আগে জাহিদুল ইসলাম খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, তাকে এখন বিভিন্ন থানা থেকে ফোন করে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমীর তৈমুর আলম, এএসআই ইব্রাহীম ও ফিরোজ। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। খুলনা মহানগর হাকিম আবির পারভেজের আদালত জেলা প্রশাসনের অধীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্ত করে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আড়ংঘাটা থানা এলাকার ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলামকে পুলিশ সদস্যরা ডেকে থানায় নিয়ে যান। এরপর ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। গত ২৭ আগস্ট তিনি ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন।
এদিকে এএসআই ইব্রাহিম জাগো নিউজকে জানান, বাদি চাকরি দেয়ার নাম করে জনৈক ব্যক্তির নিকট থেকে ছয় লাখ টাকা নেন। কিন্তু চাকরি ও টাকা কোনটায় তিনি দেননি। এ ঘটনায় জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ আসার পর তাকে থানায় ডেকে নেয়া হয়। থানায় দুই পক্ষই মীমাংসা করার কথা বলেন এবং জাহিদুল ইসলাম তিন লাখ টাকা পরিশোধ করবেন বলে অঙ্গীকার করেন। পরে মুচলেকা দিয়ে তার বড় ভাই থানা থেকে তাকে নিয়ে যান।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমীর তৈমুর আলম জাগো নিউজকে বলেন, জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আলমগীর হান্নান/এসএস/আরআইপি