প্রেমিককে মেরে পুঁতে রাখার বর্ণনা দিল প্রেমিকা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি হবিগঞ্জ
প্রকাশিত: ১১:২১ এএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৯

হবিগঞ্জের লাখাইয়ে কলেজছাত্র উজ্জ্বল মিয়া খুনের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তার প্রেমিকা ফারজানা আক্তার (১৭)। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি দেন।

এ সময় তিনি ঘটনার আদ্যোপান্ত বর্ণনা করেন। পরে আদালতের নির্দেশে ফারজানা আক্তার ও তার বাবা মঞ্জু মিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লাখাই থানা পুলিশের ওসি মো. এমরান হোসেন।

প্রেমিককে হত্যার দায়ে গ্রেফতার হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের ছাত্রী ফারজানা আক্তার আদালতকে জানান, মাধবপুর সৈয়দ সঈদ উদ্দিন কলেজের ছাত্র লাখাই উপজেলার মুড়াকরি গ্রামের শাহ আলমের ছেলে উজ্জ্বল মিয়ার (২২) সঙ্গে ফেসবুকে তার পরিচয় ও প্রেম হয়। দিনে দিনে প্রেম গভীর হয়ে ওঠে। ফারজানার মা-বাবা ঢাকায় অবস্থান করার সুযোগে প্রায়ই তাদের বাড়িতে যাতায়াত করতো উজ্জ্বল। তাদের মাঝে অসংখ্যবার দৈহিক সম্পর্কও হয়েছে। কিন্তু তাকে রেখে আরও কয়েকজন মেয়ের সঙ্গে একইরকম সম্পর্ক গড়ে তোলে উজ্জ্বল। সে খবর জানতো না ফারজানা।

২০ ফেব্রুয়ারি তারা ফারজানার বাড়িতে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। ওই রাতে অন্য প্রেমিকা বার বার উজ্জ্বলকে মোবাইলে ফোন করছিল। কিন্তু ফোন না রিসিভ করায় সে এক পর্যায়ে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠায়। তা দেখতে পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ফারজানা। সে তখন আত্মহত্যার কথা চিন্তা করে। পরক্ষণেই সিদ্ধান্ত পাল্টায়। নিজে কেন মরবে? বরং প্রেমিককে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাতেই ঘরে থাকা শিল দিয়ে প্রেমিক উজ্জ্বলের মাথায় প্রথমে আঘাত করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। এরপর নিজের ঘরের মেঝেতে গর্ত করে লাশ পুঁতে রাখে।

পরদিন সকালে সে ঢাকায় গিয়ে মা বাবার কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানায়। খবর পেয়ে মা বাবা ঢাকা থেকে বাড়িতে ছুটে আসেন। রাতে তার বাবা মঞ্জু মিয়া লাশ বস্তাবন্দি করে মেন্দি হাওরের একটি বিলে নিয়ে ফেলে আসেন।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।