অগ্নিদগ্ধ শাহীনুরের মৃত্যু, আটক ৫

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর
প্রকাশিত: ০৯:০৯ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০১৯

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় স্ত্রীর স্বীকৃতি চাইতে এসে আগুনে দগ্ধ চট্টগ্রামের তরুণী শাহীনুর আক্তারের (২৪) মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইউপি সদস্যসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) রাত থেকে সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় তাদের আটক করা হয়। তারা লক্ষ্মীপুর সদর মডেল ও কমলনগর থানায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

আটকরা হলেন ইউপি সদস্য (মেম্বার) হাফিজ উল্যা, গ্রাম পুলিশ আবু তাহের, তরুণীর দাবি করা স্বামী সালাউদ্দিনের ভাই আলাউদ্দিন ও আবদুর রহমানসহ পাঁচজন।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহীনুর মারা যান। এর আগে রোববার বিকেলে কমলনগর উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের আইয়ুবনগর এলাকার একটি সয়াবিন ক্ষেত থেকে তরুণী শরীরে আগুন নিয়ে দৌড়ে বের হতে দেখে স্থানীয়রা। শাহীনুর চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার সোনাগাজী গ্রামের জাফর আলমের মেয়ে।

স্থানীয়রা জানায়, সালাউদ্দিনের সঙ্গে বিয়ের প্রমাণের জন্য শাহীনুরকে কাবিননামা নিয়ে আসতে বলেন ইউপি মেম্বার হাফিজ উল্যা। কাবিননামার জন্য তাকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু হঠাৎ সয়াবিন ক্ষেত থেকে গায়ে আগুন নিয়ে শাহীনুরকে দৌড়ে আসতে দেখা যায়। পরে তার আগুন নেভানো হয়।

গায়ে আগুন দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শাহীনুর বলেন, বিয়ের বিষয়টি সালাউদ্দিনের অস্বীকার করার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে নিজের গায়ে নিজে আগুন দিয়েছেন।

তবে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহীনুর বলেছিলেন, স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়ায় স্বামী সালাউদ্দিন তার শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।

লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার রিয়াজুল কবির বলেন, তরুণীর অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। অগ্নিদগ্ধের পর তার দুই রকম ভাষ্য পাওয়া গেছে। গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। নিহতের বাবার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আসলেই এ ঘটনায় মামলা নেয়া হবে।

কাজল কায়েস/এএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।