নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে ম্যাচের কাঠি জ্বালায় জোবায়ের

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফেনী
প্রকাশিত: ০৫:৩৭ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০১৯

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার মেধাবী ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার এজহারের অন্যতম আসামি সাইফুর রহমান মো. জোবায়ের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

রোববার সকালে ফেনীর সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহম্মেদের আদালতে তাকে হাজির করা হয়। বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে তার জবানবন্দি রেকর্ড শেষ হয়।

জবানবন্দির পর সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফ করেন পিবিআই’র চট্টগ্রাম বিভাগের স্পেশাল পুলিশ সুপার মো. ইকবাল।

তিনি বলেন, জোবায়ের আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে, সে ঘটনার দিন কিলিং মিশনে সরাসরি অংশ নিয়ে নুসরাতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেয় এবং ম্যাচের (দিয়াশলাই) কাঠি জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তিনি আরও বলেন, জবানবন্দিতে জোবায়ের এ হত্যার বিষয়ে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। কিন্তু মামলার তদন্তের স্বার্থে তা উল্লেখ করা যাচ্ছে না।

Jobayer.jpg

এর আগে ১০ এপ্রিল জোবায়েরকে সোনাগাজী থেকে গ্রেফতার করা হয়। ১১ এপ্রিল একই আদালত তাকে ৫ দিনের রিমাণ্ড দেয়। সে নুসরাতের সহপাঠী ছিল এবং সোনাগাজী পৌর শহরের আবুল বাশারের ছেলে।

মামলার অন্যতম আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীমের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে আসে জোবায়ের কথা। শামীম বলেছেন, নুসরাতকে মেঝেতে শুইয়ে ফেলার পর জোবায়ের তার ওড়না দুই টুকরো করে হাত ও পা বেঁধে ফেলেন।

এদিকে শনিবার জোবায়েরকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পিবিআই এবং ঘটনায় ব্যবহারিত বোরকা উদ্ধার করা হয় খাল থেকে। এখন পর্যন্ত আটজন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এদের মধ্যে নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের হোসেন।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমীন, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদাক মাকসুদ আলমসহ ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই।

রাশেদুল হাসান/এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।