তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সংঘর্ষ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নেত্রকোনা
প্রকাশিত: ০৫:৫৫ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০১৯

নেত্রকোনায় মাওলানা সাদপন্থীদের আয়োজিত তিনদিনের ইজতেমায় যোগ দেয়ার দাওয়াত দেয়া নিয়ে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার সকালে জেলার মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের রামগোপালপুর বড় বাড়ির ভরাট পুকুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এত উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন।

আহত মাওলানা সাদের অনুসারী হাসনপুর গ্রামের হাফেজ ওহিদুজ্জামান, কুলিয়াটি গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেন ও আব্দুল কদ্দুছকে মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাশাপাশি মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী দেওসহিলা গ্রামের মুফতি ওমর ফারুক, রামগোপলপুর হাফিজিয়া মাদরাসার মুফতি সোলেমান, হাফেজ খাইরুল ইসলাম, মাওলানা এনামুল হক, মো. শহিদুল ইসলাম, শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান ও আব্দুল ওয়াদুদকে তাড়াইল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মদনপুর শাহ সুলতান কমর উদ্দীন রুমি (রহ.) মাজারের পাশের মাঠে তিনদিনের ইজতেমার আয়োজন করে মাওলানা সাদপন্থীরা। তাদের ইজতেমায় যোগ দেয়ার জন্য হাফেজ ওহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দল এলাকায় দাওয়াতের কাজ করছিল।

কিন্তু তাদের দাওয়াতি কাজে বাধা দেয় মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা চলছিল। বুধবার সকালে ওহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে ১৬ জন মোটরসাইকেলযোগে দাওয়াতের কাজে ফতেপুর রামগোপালপুর বড় বাড়ির মিশন চৌধুরীর বাড়িতে যায়।

সেখান থেকে ফেরার পথে বাড়ির সামনে ভরাট পুকুরে পৌঁছামাত্রই জুবায়ের অনুসারী মুফতি ওমর ফারুকের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে হামলা চালায়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।

আহত হাফেজ ওহিদুজ্জামান বলেন, দাওয়াতে বাধার কারণে আমি এই এলাকায় আসতে রাজি ছিলাম না। সকালে কয়েকজন সাথী মোটরসাইকেলযোগে এসে আমাকে নিয়ে মিশন চৌধুরীর বাড়িতে যান। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুফতি ওমর ফারুকের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাদের একটি মোটরসাইকেল ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। ষড়যন্ত্রমূলক ভাবেই আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি আইনের আশ্রয় নেব।

মুফতি ওমর ফারুক বলেন, সোমবার ফতেপুর হাটশিরা বাজার মসজিদে হাফেজ ওহিদুজ্জামাকে এলাকার পরিস্থিতি উত্ত্যক্ত দাওয়াতের কাজ বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু তিনি তা অমান্য করে বুধবার সকালে মিশন চৌধুরীর বাড়িতে দাওয়াত নিয়ে আসেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে এর প্রতিবাদ জানান।

এ ব্যাপারে মদন থানা পুলিশের ওসি মো. রমিজুল হক বলেন, তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কামাল হোসাইন/এএম/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।