ভোটার নেই, ফাঁকা কেন্দ্র পাহারা দিচ্ছে পুলিশ

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)
প্রকাশিত: ০৩:৫৮ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০১৯

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে নেই কোনো উত্তাপ। ভোটার উপস্থিতি একেবারেই নেই। ফাঁকা ভোটকেন্দ্রগুলো পাহারা দিচ্ছে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা।

ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার রুমে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন। ভৈরবের জগন্নাথপুর নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চন্ডিবের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বুধবার বেলা ২টার দিকে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভৈরব উপজেলার তিনটি স্থগিত কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। কেন্দ্রগুলো হলো- জগন্নাথপুর নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চন্ডিবের হাজি আসমত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বধূনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

গত ২৪ মার্চ ভৈরব উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭৯ কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হলেও তিন কেন্দ্রে গোলযোগের কারণে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ওই তিনটি স্থগিত কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৮ হাজার ৬২৫ জন।

voirob

২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে যথাক্রমে মো. সায়দুল্লাহ মিয়া ও মনোয়ারা বেগম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে অনেক বেশি ভোট পাওয়ায় তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

এদিকে, চারজন ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থীর (পুরুষ) মধ্যে আল-মামুন (টিউবয়েল) ওইদিন ৪৩ হাজার ৫৮০, মোশারফ হোসেন (তালা) ৩৯ হাজার ৩৫৫, শহীদুল্লাহ কায়সার (চশমা) ১৬ হাজার ৩৭৬ ও ইসহাক মিয়া (উড়োজাহাজ) ২ হাজার ৯৭৪ ভোট পান। আল-মামুনের সঙ্গে মোশারফের ভোটের ব্যবধান ৪ হাজার ২২৫ ভোট। ফলে আজকের ভোটে তাদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে।

এরই মধ্যে গত সোমবার সকালে মোশারফ হোসেন ভৈরব প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জন করেন। কাজেই আজকের উপ-নির্বাচনে আল-মামুন বিজয়ী হবে। এ কারণে আজকের উপ-নির্বাচনে কোনো উত্তাপ নেই। ভোট প্রয়োগে আগ্রহ নেই ভোটারদের।

কেন্দ্রগুলো ঘুরে জানা যায়, বেলা ২টা পর্যন্ত চন্ডিবের প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি বুথে ৩২০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ১৯টি, আরেকটি বুথে ৩৫৭ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৩৬টি।

voirob

জগন্নাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রের একটি বুথে ৩২৪ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪০টি, অপর বুথে ২৯০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ২৭টি। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ভোটারের উপস্থিতি ৭% থেকে ১০%। বিকেল ৪টা আরও কিছু ভোট পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।

ভৈরব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন, দুই প্রার্থী আল-মামুন ও মোশারফের ভোটের ব্যবধান ৪ হাজার ২২৫ ভোট। স্থগিত তিন কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৮ হাজার ৬২৫ ভোট। কাজেই নিয়ম অনুযায়ী উপ-নির্বাচন হচ্ছে। ভোটার উপস্থিতি কম, সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়। ভোটারদের কেন্দ্রে আসার ব্যবস্থা করতে হবে প্রার্থীদের। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা আমাদের দায়িত্ব, সেটি আমরা পালন করছি।

আসাদুজ্জামান ফারুক/এএম/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।