রাতে ফোন করে ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব দেন গণিত শিক্ষক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নাটোর
প্রকাশিত: ০৮:৩৮ পিএম, ১৪ এপ্রিল ২০১৯

নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের গণিত শিক্ষক ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, ভোগান্তি ও হুমকি দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে ওই স্কুলের ১৩ জন শিক্ষার্থী এবং ১১ জন অভিভাবক গত ১১ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষক ফজলুর রহমানকে অপসারণ ও তার কঠোর শাস্তির দাবিও করেছেন তারা।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের গণিত শিক্ষক ফজলুর রহমান রাতে ছাত্রীদের ফোন করে কুপ্রস্তাব দেন। তার কুপ্রস্তাবে রাজি হলে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং বেশি নম্বর দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। শিক্ষার্থীদের তার কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করেন। প্রাইভেট পড়ানোর সময় একাধিক ছাত্রীর স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়াসহ যৌন হয়রানি করেন শিক্ষক ফজলুর রহমান।

তিন পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত শিক্ষকের নামে মোট ১২টি অভিযোগ উল্লেখ করেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে শিক্ষক ফজলুর রহমানের অপসারণ ও কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী জানায়, অবিলম্বে অভিযুক্ত শিক্ষককে দ্রুত অপসারণ করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয়া হলে ফেনির মাদরাসাছাত্রী ছাত্রী নুসরাতের মতো ঘটনা এখানেও ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত গণিত শিক্ষক ফজলুর রহমানকে গতকাল শনিবার স্কুলে গিয়ে পাওয়া যায়নি। সেই সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

তবে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, এ ব্যাপারে আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সিংড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিপুল কুমারকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্তে ওই শিক্ষকের দ্বারা ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করার ঘটনা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।