বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে গেল বর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯:১২ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০১৯

একইদিনে তিন স্কুলছাত্রীকে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা করেছেন সিরাজগঞ্জ সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান।

শুক্রবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদরের বহুলী ইউনিয়নের ব্রহ্মখোলা গ্রামের স্বর্ণা খাতুন (১৩), সন্ধ্যায় বাগবাটি ইউনিয়নের মালিগাতি গ্রামের পূর্ণিমা খাতুন (১৫) ও রাতে সয়দাবাদ ইউনিয়নের শারমিন খাতুনের (১৫) বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ সদরের বহুলী ইউনিয়নের ব্রহ্মখোলা গ্রামে কনের বাড়িতে উপস্থিত হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। তখন ব্রহ্মখোলা গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে স্বর্ণা খাতুনের সঙ্গে রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে ইমরানের (২২) বিয়ের আয়োজন চলছিল। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে বিয়ের আসর থেকে বর ও কাজি পালিয়ে যায়।

sira-2

কনে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিয়ে কনের মায়ের কাছ থেকে মেয়ের ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না বলে মুচলেকা নেয়।

এদিকে, সন্ধ্যা ৭টায় সিরাজগঞ্জ সদরের বাগবাটি ইউনিয়নের মালিগাতি এলাকায় অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। তখন মালিগাতি গ্রামের মতিয়ার রহমানের মেয়ে পূর্ণিমা খাতুনের সঙ্গে একই উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের খাতা জয়নগর গ্রামের আ. রাজ্জাকের ছেলে জাহিদুল ইসলামের (২২) বিয়ের আয়োজন চলছিল। কনে হরিনা বাগবাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিয়ে কনের বাবা মতিয়ার রহমান ও বরের মামা শহিদুল ইসলামকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়।

এরপর রাত ৯টায় সয়দাবাদ ইউনিয়নের বাঐতারা গ্রামে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। তখন বাঐতারা গ্রামের সাইফুল সরকারের মেয়ে শারমিন খাতুনের সঙ্গে পাইকপাড়া গ্রামের রইজ উদ্দিনের ছেলে সাব্বির আলীর (২০) বিয়ের আয়োজন চলছিল। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে বরপক্ষ পালিয়ে যায়। কনে যমুনা সেতু দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। বর ও কনে উভয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়। পরে কনের বাবা ও বরের বাবার কাছ থেকে কনে ও বর প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না বলে মুচলেকা নেয়া হয়।

sira-3

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সয়দাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নবীদুল ইসলাম, পৌরসভার ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, আনসার ব্যাটালিয়নের পিসি নুরুল ইসলাম ও আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।

রাজু/এএম/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।