নুসরাত হত্যা : মুকছুদকে আ.লীগ থেকে অব্যাহতি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফেনী
প্রকাশিত: ১১:০১ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০১৯

ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানি ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার ২ নম্বর আসামি কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুকছুদ আলমকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান।

এর আগে বৃস্পতিবার রাতে ঢাকার একটি হোটেল থেকে নুসরাত হত্যা মামলার অন্যতম আসামী মুকছুদ আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে আদালতে তুলো মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত সোমবার মামলার শুনানির দিন ধার্য করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

আলোচিত এ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও পিবিআই। এদের মধ্যে অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদ দৌলাকে সাতদিন ও আরও আটজনকে পাঁচদিন করে রিমান্ড দিয়েছে আদালত।

গত বুধবার রাত ৯টা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেন বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় অগ্নিদগ্ধ নুসরাত। পরদিন সকালে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দিলে সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।

৬ এপ্রিল শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। ওই সময় তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের উপর কেউ মারধর করেছে এক ছাত্রীর এমন সংবাদে ভবনের চারতলায় যান তিনি। সেখানে মুখোশ পরা চার-পাঁচ ছাত্রী তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। এতে অস্বীকৃতি জানালে তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন নুসরাত জাহান রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

রাশেদুল হাসান/জেএইচ

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।