রাজশাহীতে বাড়ছে নারী ও শিশু নির্যাতনের সংখ্যা


প্রকাশিত: ০৮:৪২ এএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রতীকী ছবি

রাজশাহী জেলায় নারী ও শিশু নির্যাতনের মাত্রা চরম অবনতি হয়েছে। গত আগস্ট মাসে রাজশাহী জেলায় নারী হত্যা, আত্মহত্যা, ধর্ষণ, যৌন নির্যাতনের মতো জঘন্য কর্মের মাত্রা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোসাল ওয়েলফেয়ারের (লফস) তথ্য মতে, গত এক মাসে চারটি হত্যা, ১১টি আত্মহত্যা, ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৭ জন নারী ও শিশু। এছাড়া বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৪৫ জন। সর্বমোট নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৬২ জন।

সংস্থাটি রাজশাহী অঞ্চলে দীর্ঘদিন যাবৎ নারী ও শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় সংস্থার ডকুমেন্টেশন সেলের ভিত্তিতে গত আগস্ট মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরা হয়।

এদিকে, বেসরকারি সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) নারী ও শিশু নির্যাতনের জরিপ প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত আগস্ট মাসে নারী ৩৫ জন এবং শিশু ১৯ জনসহ মোট ৫৪ জন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে তানোর উপজেলার তানোর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র মোশারফ হোসেনকে পিটিয়ে আহত করে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক।

সংস্থাগুলো মনে করে নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন ও পারিবারিক কলহের জের ধরে হত্যা ও আত্মহত্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এমন বাস্তবতায় সকল শ্রেণি-পেশার জনসাধারণের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত করে অপরাধীর কঠোর শাস্তি অপরাধ প্রবণতাকে কমাতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শাহরিয়ার অনতু/এমজেড/এমএস


পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।