নারী মেম্বারকে লাথি মারলেন চেয়ারম্যান

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বান্দরবান
প্রকাশিত: ০৯:২৬ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০১৯

বান্দরবানের রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একই ইউনিয়নের এক নারী মেম্বারকে লাথি মেরে চেয়ার থেকে ফেলে দিয়েছেন। এতে মারাত্মক আহত হয়েছেন ওই নারী মেম্বার।

এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বুধবার দুপুরে উপজেলার রুমা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার একটি খাবার হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দুপুরে রুমা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার একটি খাবার হোটেলে ভাত খাচ্ছিলেন নারী মেম্বার ছোমাচিং মারমা (৩০)। এ সময় উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা ওই খাবার হোটেলে যান। কয়েকদিন আগে নারী মেম্বার ছোমাচিং মারমা বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পান। ফলে নারী মেম্বারের পদ থেকে পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন চেয়ারম্যান। এ সময় পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে তর্কে-বিতর্কে জড়ান তারা। একই সঙ্গে পদত্যাগপত্রের বিষয়ে সমস্যার কথা জানান নারী মেম্বার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সবার সামনে হোটেলে নারী মেম্বার ছোমাচিং মারমাকে লাথি মেরে চেয়ার থেকে ফেলে দেন চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা। এতে মারাত্মক আহত হন নারী মেম্বার ছোমাচিং মারমা। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে নারী মেম্বারকে উদ্ধার করেন। আহত ছোমাচিং মারমা পাইন্দু ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং সংরক্ষিত আসনের নারী মেম্বার।

এ ঘটনার পর বুধবার বিকেলে নারী মেম্বার ছোমাচিং মারমা থানায় অভিযোগ করতে যান। কিন্তু বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান পাইন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমাকে তার বাসায় ডাকেন। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান পাইন্দু ইউপি চেয়ারম্যানকে নারী মেম্বারের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেও রাজি হননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাইন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা বলেন, নারী মেম্বার ছোমাচিং মারমা আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। তাই তাকে লাথি মেরে ফেলে দিয়েছি। আমি আমার কৃতকর্মের জন্য নারী মেম্বারের কাছে ক্ষমা চাইব না। প্রয়োজনে ১০ বছর জেলে থাকতে রাজি, তারপরও ক্ষমা চাইব না আমি।

জানতে চাইলে পাইন্দু ইউনিয়নের (১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড) নারী মেম্বার ছোমাচিং মারমা বলেন, বিষয়টি নিয়ে কোনো মীমাংসা হয়নি। দু’একদিনের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করব আমি।

এ ব্যাপারে রুমা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কাশেম বলেন, ঘটানাটি আমি মানুষের কাছ থেকে শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে থানায় মামলা কিংবা অভিযোগ দেননি ভুক্তভোগী নারী মেম্বার। তিনি অভিযোগ দিলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সৈকত দাশ/এএম/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।