মোকাব্বিরকে ‘বেইমান’ বললেন ইলিয়াসপত্নী লুনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক সিলেট
প্রকাশিত: ০৯:৩২ এএম, ০৩ এপ্রিল ২০১৯

সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করায় মোকাব্বির খানকে বেইমান বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসীনা রুশদীর লুনা।

মঙ্গলবার রাতে জাগো নিউজকে তাহসীনা রুশদীর লুনা বলেন, ‘মোকাব্বির বেইমান। তাকে কেউ চিনত না। তার কোনো ভোট নেই। সে আমার বাসায় এসে, আমার কাছে বলেছিল সে ইমানদার।’

লুনা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মোকাব্বিরের মিটিংয়ে ১০ জন লোকও হতো না। আমাদের সমর্থন নিয়েই সে এমপি হয়েছে। তার যোগ্যতা থাকলে সে যেন আবার প্রার্থী হয়।’

তাহসীনা রুশদীর লুনা সিলেট-২ আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন। আইনি জটিলতায় তার মনোনয়ন বাতিল হলে মোকাব্বির খানকে সমর্থন দেয় ঐক্যফ্রন্ট। স্থানীয় বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থান আর নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে পরাজিত করে বড় জয় পান উদীয়মান সূর্য প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা মোকাব্বির খান। পরে দীর্ঘ নাটকীয়তা শেষে মঙ্গলবার দুপুরে শপথ নেন তিনি।

এদিকে সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খানের (৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত) জনসভায় যোগ দেয়ায় সিলেট জেলা ও বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির ৯ নেতাকে শোকজ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার তাদের নামে শোকজের চিঠি ইস্যু করে জেলা বিএনপি। রাত ৯টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ।

শোকজ হওয়া নেতারা হলেন, জেলা বিএনপির সদস্য জসিম উদ্দিন জুনেদ, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও লামাকাজী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রইছ উদ্দিন মাস্টার, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহিদ মিয়া, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক, অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া, উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মান্নান রিপন, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও খাজাঞ্চী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এটিএম নুর উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান নুর আসাদ ও গ্রাম সরকারবিষয়ক সম্পাদক আবুল হোসেন।

এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া এখনও শোকজ চিঠি পাননি জানিয়ে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি আমাদেরকে শোকজ করা হয়েছে।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ শুভ বলেন, ‘ওই ৯ নেতাকে শোকজ করে তাদের নামে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। চিঠিগুলো তাদের কাছে পাঠানো হবে। চিঠিতে তাদেরকে এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, ৩১ মার্চ রোববার সিলেট-২ আসনে গণফোরাম থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের জনসভা বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের রামসুন্দর সরকারি হাইস্কুলের পূর্বের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। ‘বিশ্বনাথ উপজেলাবাসী’র ব্যানারে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিএনপির ওই ৯ নেতা যোগ দেন।

ছামির মাহমুদ/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।